কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজারের বিমান ঘাঁটির সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান ঘাঁটির ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলার পেছনে স্থানীয় উচ্ছেদ অভিযানকে দায়ী করা হচ্ছে।
হামলার পরপরই বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১ দিকে সমিতিপাড়ার পার্শ্ববর্তী কুতুবদিয়া পাড়ার জাহেদ হোসেন নামের এক তরুণের সঙ্গে বিমানবাহিনীর একটি তল্লাশিচৌকিতে হেলমেট পরা নিয়ে কর্তব্যরত ব্যক্তিদের কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। জাহেদের আত্মীয়স্ব ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটি ও সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। থেমে থেমে আধা ঘণ্টা ধরে চলে ওই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। তাতে গুলিবিদ্ধ হন শিহাব কবির নাহিদ নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয় লোকজন শিহাবকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত করেন।
শিহাবের মৃত্যুর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় লোকজন লাঠোঁটা নিয়ে বিমানবাহিনীর ঘাঁটির দিকে এগিয়ে আসেন। দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু, ঈদগাঁও আসনের সাবেক সংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেন। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ধরনের হামলা বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহীর তৎপরতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কতটা সক্ষম হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।