ভারতের শত্রুদেশের সাথে বন্ধুত্ব করলো বাংলাদেশ !চিন সফরে হাসিনা-জিনপিং বৈঠক, সই হল ২১টি সমঝোতা!
নয়াদিল্লির পর এবার বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সাথে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। বুধবার, তিন দিনের চিন সফরের শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ‘গ্রেট হল অফ দ্য পিপল’-এ বৈঠকে অংশ নিয়ে ২১টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে যে, অর্থনৈতিক ও ব্যাঙ্কিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চিন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, কৃষিপণ্য রফতানি, এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে সমঝোতা পত্রে সই হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, তিস্তা প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়টি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়।
শেখ হাসিনা চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কুইয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, এবং বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে বেজিং-ঢাকা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সফর হয়েছে। জানুয়ারিতে হাসিনার নতুন সরকার গঠনের পর, চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন নতুন বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করে তিস্তা প্রকল্পের দ্রুত অনুমোদনের অনুরোধ করেছিলেন।
দিল্লি বাংলাদেশের কাছে তিস্তা নদীর জলপ্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা তৃতীয় একটি দেশের ইঞ্জিনিয়ার ও কারিগররা পরিচালনা করছে। শিলিগুড়ি করিডোরের সংবেদনশীল ‘চিকেন নেক’ অঞ্চলে চিনের একটি প্রকল্প ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে, যা অনেক বিশেষজ্ঞ উত্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ দিল্লি সফরে এসেছিলেন, এবং তাঁকে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছিল।
গত ২২ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মোদী-হাসিনা বৈঠকে তিস্তা নদীর প্রসঙ্গ উঠেছিল। তিস্তা জল বণ্টন নিয়ে ভারতের সাথে চুক্তি অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা প্রায় পাঁচ বছর আগে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি লিখে তিস্তা প্রকল্পে সহযোগিতার অনুরোধ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে, হাসিনা-জিনপিং বৈঠকের দিকে নয়াদিল্লির নজর ছিল।