সংবিধান অনুযায়ী এখনও পদত্যাগ করেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী,আমার মা’, বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন হাসিনার পুত্র জয়।
পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়েছে। বিস্তৃত গণআন্দোলনের পরে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। তার ভবিষ্যত পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে। এই ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয়, হাসিনার পুত্র, সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। জয় বিস্ফোরক দাবি করেছেন যে, শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি এবং সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে জয় আমেরিকার ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। হাসিনা ইস্তফা দিয়ে দেশ ত্যাগের পর থেকে তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন এবং ভিডিও বার্তা প্রেরণ করছেন। রয়টার্সের সাথে শনিবারের সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, “আমার মা কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তিনি সেই সময় পাননি। তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল করতে শুরু করলে তার জন্য সময় থাকেনি। তিনি নিজের ব্যাগ পর্যন্ত গোছাতে পারেননি। সংবিধান মোতাবেক, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।” তিনি আরও দাবি করেন যে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার অসাংবিধানিক।
গত ৫ আগস্ট, সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান হাসিনার পদত্যাগের খবর জানান। জানা গেছে, মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে তিনি ইস্তফা দিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পাঁচ দিন পর, জয় সেই পদত্যাগ নিয়ে মন্তব্য করেন। ৮ আগস্ট, ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, যার অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। জয় জানিয়েছেন, সেই নির্বাচনের সময় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দেশে ফিরবেন।
গতকাল জয় বলেন, “বর্তমানে আমাদের দল ও কর্মীরা সংকটে আছেন। তাঁদের হিংসা থেকে রক্ষা করতে যা করণীয়, আমি তা করব। রাজনীতিতে নামার প্রয়োজন হলে আমি পিছপা হব না। আমার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে ছিল না, আমেরিকায় স্থায়ী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমাকে উদ্বিগ্ন করছে। মনে হচ্ছে দেশের নেতৃত্বে একটি ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। দল ও দেশের জনগণের স্বার্থে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে নামার জন্য প্রস্তুত। দল ও বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচানো আমার লক্ষ্য। আমি এগিয়ে যাব।” আওয়ামি লিগ ও বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।