বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানালো ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রশ্ন উত্তরে জানান, ভারত চায় বাংলাদেশে দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করুক।
সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যেন নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার ভারতের উপর না চাপায়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রশাসনিক সমস্যাগুলি সেখানকার বর্তমান সরকারকেই সমাধান করতে হবে। অজুহাত দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে তিনি পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে ইউনুস ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতার জন্য ভারতীয় আধিপত্যবাদী ক্রিয়াকলাপ দায়ী।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার উধ্বৃতি দিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের জানান যে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণেই পুরো দেশ সংকটে পড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবর নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মতামত দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা তাদের নিজেদেরই করতে হবে। এর জন্য বাইরের কোনো পক্ষকে দোষারোপ করা উচিত নয়।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারত দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছে। নয়াদিল্লির মতে, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব পথ উন্মুক্ত হবে। লক্ষণীয় যে, বিএনপিও দেশে দ্রুত নির্বাচন দাবিতে সক্রিয় হয়েছে এবং তারা ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। অন্যদিকে, ইউনুস সরকার ভোটের জন্য আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এমনকি, একমাত্র বিএনপিই ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন চায় বলে নাম উল্লেখ না করে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।