চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোয় ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা আমেরিকার!
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একের পর এক ব্রিটিশ সাংসদ সরব হয়েছেন। ভারতে এই ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর বিদেশ মন্ত্রক কড়া বিবৃতি জারি করেছে। মহম্মদ ইউনূস সরকার কোনও নমনীয় মনোভাব দেখায়নি, বরং ভারত-বিরোধী স্লোগান উঠেছে ওপার বাংলায়। আইনজীবীদের আতঙ্কে সন্ন্যাসীর জামিনের শুনানিতে আদালতে আসা সম্ভব হয়নি, এবং একাধিক আইনজীবী হামলার শিকার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা ইউনূস সরকারের উদ্দেশে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে। বাংলাদেশকে জেলবন্দিদের “যথাযথ” আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে বলে ওয়াশিংটন মন্তব্য করেছে। চট্টগ্রামের আদালতে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিনের শুনানি একমাসের জন্য পিছিয়ে গেছে। এরপরেই আমেরিকা এই বার্তা পাঠিয়েছে।
আমেরিকার প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপার্সন বেদান্ত পটেল উল্লেখ করেন, “মৌলিক স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান অপরিহার্য। প্রতিবাদগুলি শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। অস্থিরতার সময়ে, সরকারের উচিত আইনের শাসন এবং মৌলিক মানবাধিকার বজায় রাখা।” চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলার শুনানি সম্প্রতি এক মাসের জন্য পিছিয়ে গেছে, কারণ কোনও আইনজীবী উপস্থিত হননি। পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ২ জানুয়ারি। এর ফলে, ইসকনের সন্ন্যাসীকে অন্তত আরও এক মাস জেলে থাকতে হবে। আগামী শুনানিতে তাঁর পক্ষে কেউ সওয়াল করবেন কিনা তা এখনও অনিশ্চিত।
চিন্ময়কৃষ্ণকে আরও এক মাস জেলে থাকতে হবে। সনাতনীরা মনে করছেন, এতে তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। শুনানির আগের দিন তাঁর আইনজীবী রমেন রায়ের উপর হামলা হয়, যাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এখন ICU-তে চিকিৎসাধীন আছেন। গত সপ্তাহে যে সকল আইনজীবী সন্ন্যাসীর জামিনের আর্জি নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন, তাঁরা এবার আসেননি।
ইসকন এবং সংখ্যালঘু হিন্দু নাগরিকদের মতে, সন্ত্রাসের ভয়ে কেউ চিন্ময়কৃষ্ণর পক্ষে লড়াই করতে পারেনি। রমেন রায়ের উপর সোমবার হামলা হয় এবং তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি গুরুতর আহত হয়ে ICU-তে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার চিন্ময়কৃষ্ণর হয়ে লড়াই করার জন্য অন্য কোনও আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতে হাজির হননি।