দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ ! কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন শেখ হাসিনার !
কোটা সংস্কারের ইস্যুতে চলমান আন্দোলনের পর সারাদেশে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি এবং সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গণভবনে শুক্রবার রাতের ১৪ দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, বৈঠক শেষে আইন মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং শীঘ্রই সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী কারফিউ এবং সেনা মোতায়েন সম্পর্কিত পরিপত্র জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, শান্তি ও জননিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুসারে আজ থেকে সান্ধ্য আইন প্রযোজ্য হবে।
জেলা প্রশাসনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করবেন। পরিপত্রে বলা হয়েছে, বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, কারফিউ বা সান্ধ্য আইনের সময়সীমা এবং শর্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কমিশনার নির্ধারণ করবেন।
গণভবনে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠকের পর, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “সারাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সরকার কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার পরও আন্দোলনকারীরা সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার কোটা আন্দোলনের নামে রাজনীতি করা থেকে সতর্ক রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি কারফিউ প্রসঙ্গে বলেন, “এটি অবশ্যই কারফিউ, নিয়ম অনুযায়ী হবে এবং শুট অ্যাট সাইট অন্তর্ভুক্ত হবে।”
মি. কাদের জানান, আন্দোলনের নামে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো হয়েছে, বিটিভি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
বৈঠকে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতারা দেশের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং জনগণের জান-মাল রক্ষায় সামরিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছেন।আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল বর্তমান সংকট উত্তরণে দেশবাসির সহযোগিতা চেয়েছেন।