বাংলাদেশে সরকারি চাকরি থেকে বেছে বেছে হিন্দুদের বাদ দিলো ইউনুস সরকার!
সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মানবাধিকার রক্ষার জন্য ইউনূস সরকারকে বার্তা পাঠালেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। এবার বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই সরকারি চাকরি থেকে বাদ পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, ৪৩ তম পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগকৃত হিন্দু ধর্মের ১৬৭ জনের নাম বাদ পড়েছে। সম্প্রতি ইউনূস সরকার নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যেখানে বাদ পড়াদের অধিকাংশই হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তিন মাসেরেই বিজ্ঞপ্তি পরিবর্তন করে কেন সনাতনীদের বাদ দেওয়া হল?
৪৩তম বিসিএস (BCS) তালিকা অনুযায়ী, প্রশাসন ক্যাডারে বাদ পড়া ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন হিন্দু। পররাষ্ট্র ক্যাডারে ৫ জন বাদ পড়েছেন, যার মধ্যে ২ জন হিন্দু। কাস্টমস ক্যাডারে ৩ জনের মধ্যে ১ জন হিন্দু, পুলিশ ক্যাডারে ৮ জনের মধ্যে ২ জনিন্দু। ট্যাক্স ক্যাডারে ৭ জনের মধ্যে ৫ জন হিন্দু, সমবায় ক্যাডারে ৩ জনের মধ্যে ১ জন হিন্দু এবং রেলওয়ে ক্যাডারে ১ জন বাদ পড়েছেন, যিনি হিন্দু। ফুড ক্যাডারেও ৩ জনের মধ্যে ২ জন হিন্দু।
প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় তালিকা প্রকাশিত হয়। প্রথম তালিকায় যারা পাস করেছেন, তাদের নাম ছিল। কিন্তু তিন মাসের মধ্যে সেই তালিকা পরিবর্তিত হয়। অভিযোগ উঠছে যে, এই তালিকা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশিরভাগ হিন্দু প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রশাসনিক স্তরের চাকরিতেও তাদেরকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। তদার সরকারের সময় বৈষম্য বজায় থাকছে। চাকরি হারিয়ে প্রার্থীরা ভেঙে পড়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সেকুলার বাংলাদেশ মুভমেন্টের প্রেসিডেন্ট পুষ্পিতা গুপ্ত বলেছেন, “৪৩তম বি সি এস ক্যাডারের ১৫ অক্টোবরের যে গেজেটটি বের হয়েছিল, বের হওয়ার পরে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী কালে আবার গেজেটটি বের করা হয়। সেখানে দেখা গেল, ২৬৭ জনের ১৬৭ জন সাতন ধর্মের। অর্থাৎ ২৬৭ জন বাদ পড়েছেন, তার মধ্যে ১৬৭ জন সনাতন ধর্মের।”