নামাজের সময়ে বাংলাদেশে জাতীয় মসজিদে হঠাত্-ই তুলকালাম কান্ড, নামাজ না পড়ে সংঘর্ষে জড়ালো মুসুল্লিরা !
বাংলাদেশের মসজিদে এইবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে! অনেকে আহত হয়েছেন। নামাজ পড়ানো ছাড়াই চলে যেতে হয়েছে আমিনকে। শান্তি বজায় রাখতে বহু পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনা ঢাকার মধ্যে ঘটেছে।
মুসলিমদের জন্য শুক্রবার অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন, যা ‘জুম্মাবার’ নামে পরিচিত। অন্যান্য দিনে না পারলেও, মুসলিমরা জুম্মাবারে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যান। ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে খতিব মুফতি রুহুল আমিন বয়ান করার সময়, কিছু মুসল্লি তাঁর পিছনে বসতে অস্বীকার করেন। এতে অন্যান্য মুসল্লিরা প্রতিবাদ জানালে, দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি এমনই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে, নামাজ পড়ানো ছাড়াই মসজিদ ত্যাগ করেন আমিন।
নুরুল হক নামের এক মুসল্লি বলেন, ‘আজ আমরা স্বাভাবিকভাবে নমাজ পড়তে এসেছি। খতিব রুহুল আমিনের সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে এসে মসজিদে ভাঙচুর করেছে।’ তিনি বলেন, ‘রুহুল আমিন জোর করে নামাজ পড়াতে চাইলেন! কিন্তু মুসল্লিদের উপর আক্রমণ কেন? মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের মারধর করা হয়েছে।’ অপর এক মুসল্লি বলেন, ‘আমি নামাজ পড়তে এসেছি, এবং আমার উপর আক্রমণ হয়েছে। মসজিদের ভেতর থেকে কাচ ভেঙে আমাদের উপর নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন পলাতক ছিলেন। নমাজ পড়ানোর জন্য তিনি সেদিন মসজিদে এসেছিলেন। অশান্তির সম্ভাবনা ছিল, এবং এলাকায় অনেক পুলিস মোতায়েন ছিল। রাস্তায় একটি প্রিজন ভ্যান এবং জলকামান রাখা হয়েছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মসজিদে আগমন করেন।