‘প্রোটেকশন মানি’ দাও, না-হলে বাংলাদেশ ছাড়ো।ফোন করে হিন্দুদের হুমকি বাংলাদেশে!
‘প্রোটেকশন মানি’ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, অন্যথায় বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হবে। এটি চাঁদাবাজির এক প্রকার। বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রত্যক্ষ চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন, এবং এই লেনদেন লাখ টাকার মধ্যে ঘটছে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ এক বাংলাদেশি হিন্দু যুবকের উদ্ধৃতি দিয়ে এমনটি জানিয়েছে।
যুবকটি আগে ভারতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য এসেছিলেন এবং বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত। তিনি বলেছেন, শহরাঞ্চলে হিন্দু এবং অন্যান্য বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের অবস্থা কিছুটা ভালো, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। যদিও যুবকটি ঢাকায় বাস করেন, তাঁর বাবা-মা চট্টগ্রামের এক কলোনিতে বাস করেন, যা ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে। ওই কলোনি হিন্দু প্রধান। সেখানকার প্রতিটি হিন্দু পরিবারের বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং চিহ্নিত পরিবারগুলিকে ফোন করে বলা হচ্ছে, ৫ লাখ টাকা দিয়ে নিরাপত্তা কিনতে হবে, নয়তো বাংলাদেশ ছাড়তে হবে। ফোনে বলা হচ্ছে, “টাকা না দিলে দেশ ছাড়ো, নইলে মরতে হবে।” শুধু একটি বাড়িতে নয়, হিন্দুদের প্রতিটি ঘরে এমন ফোন কল আসছে, দাবি করেছেন ওই বাংলাদেশি যুবক।
কে এই ফোনগুলি করছে? এই ফোনগুলি বাংলাদেশের একটি চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীর নামে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কেউ তোলা আদায় করতে আসেনি, কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় গভীর আতঙ্কে আছে কারণ তাদের সবার ফোন নম্বরগুলি ওই তোলাবাজদের কাছে রয়েছে। তারা নির্দিষ্ট নম্বরগুলিতে ফোন করছে। শহরাঞ্চলে সংখ্যালঘুরা এখনও কিছুটা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছেন, তবে একটি চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা প্রায় মাথা নীচু করে চলছেন। প্রকাশ্যে রাজনৈতিক অশান্তি নিয়ে কেউ কথা বলছেন না, এবং গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও খারাপ।
ওই যুবক জানিয়েছেন, “চাকরি পেয়ে আমি ঢাকায় চলে আসি। আমার বাবা-মা এখনো চট্টগ্রামের গ্রামে বসবাস করেন। শহরে থাকা মানুষজন নিরাপদে আছেন। কিন্তু গ্রামীণ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে উন্মত্ত জনতা হামলা করছে। এই ধরনের তোলা আদায়ের ফোন আমাদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছে।”