‘হিন্দু হত্যার কসাই’ উল্লেখ করে ইউনূসের নোবেল ফেরাতে চিঠি বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর!
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অব্যাহত হামলার কারণে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। নয়াদিল্লি, ব্রিটেন, এবং আমেরিকা সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে একযোগে সরব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এবং নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল শান্তি পুরস্কার পুনর্বিবেচনার জন্য বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো নোবেল কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে ওই চিঠির একটি কপি পোস্ট করেছেন। পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চিঠিতে লিখেছেন, “মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের হিন্দুরা অকথ্য বিভীষিকাময় গণহত্যার শিকার হচ্ছেন, যা লিখতে গিয়ে আমি অত্যন্ত যন্ত্রণা অনুভব করছি। শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত একজনের নাম আজ হিংসা ও অবিচারের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরা চরম হিংসা ও আক্রমণের শিকার হচ্ছেন, যার নেতৃত্বে রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। এই নৃশংসতার নিন্দা জানাতে এবং পুরস্কারের মর্যাদা বজায় রাখতে আমি অনুরোধ করছি এখনই পুনর্বিবেচনা করুন।”
I write with anguish as Hindus in Bangladesh face unspeakable horrors under Muhammad Yunus’s leadership—mass killings, temple destruction & persecution. Nobel Committee, how can a ‘peace laureate’ allow this? Act now to condemn these atrocities & uphold the Prize’s integrity.… pic.twitter.com/ri4tc4bnx1
— Jyotirmay Singh Mahato (Modi Ka Parivar) (@JyotirmayBJP) December 6, 2024
এটি শেষ নয়; সংখ্যালঘুদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপূজা মতো উৎসবেও নানা রকমের বাধা দেওয়া হয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ধর্মগুরুদের বিভিন্নভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি এই চিঠিতে নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে গণহত্যাকারী হেনরি কিসিঞ্জারের সাথে তুলনা করে তাকে ‘হিন্দু হত্যাকারী কসাই’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি চিঠিতে দাবি করেন যে, “নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা রক্ষার জন্য ইউনূসের নোবেল প্রত্যাহার করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, নোবেল কমিটির উচিত ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া এবং ভবিষ্যতে নোবেল প্রাপকদের জন্য আরও কঠোর নীতি প্রণয়ন করা। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে জামাত, হেফাজতে ইসলাম সহ মৌলবাদী দলগুলো শক্তি বাড়িয়েছে। এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে তারাই সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছে। এখন সেই দলগুলোর বিরুদ্ধেই বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রতিবাদ করছে।