কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তার হলে পদ হারাতে হবে খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও। নতুন বিল আনছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার লোকসভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল উপস্থাপন করবেন। বিলগুলি হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১১৩ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। এই বিলগুলি বুধবারই লোকসভায় পেশ করা হবে এবং সরকার সেগুলো যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেবে।
সূত্রের খবর, ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত কোনও মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের পদের জন্য সাংবিধানিক সুরক্ষা না পান, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। প্রস্তাবিত বিলে উল্লেখ রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রী হিসেবে আসীন কেউ যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন, তবে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে। এই বিলের মাধ্যমে কেন্দ্র বার্তা দিতে চাইছে যে দুর্নীতির প্রশ্নে কোনও আপস নয় মোদি সরকারের। যদিও বিলগুলি পেশ হলেও সেগুলি নিয়ে এখনই ভোটাভুটি হবে না। কারণ সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সাংসদ সমর্থন সরকারের হাতে নেই। তাই বিরোধীদের সহায়তা নিতে হবে এবং সেই কারণে বিলগুলি যৌথ কমিটিতে পাঠানো হবে।
আসলে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মদ কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরও পদত্যাগ করেননি। দীর্ঘদিন জেল থেকে সরকার পরিচালনা করেন তিনি। এতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়া, এই ধরনের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলেও ভুল বার্তা যায়। সবকিছু বিবেচনা করে সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের বিল আনার পরিকল্পনা করে। বুধবারই সেই বিল পেশ করার কথা।