বোলাররা প্রাথমিক কাজটি করেছিলেন। যদিও দুবাইয়ের পিচ নিয়ে চিন্তা ছিল । অক্ষর প্যাটেল ইনিংস ব্রেকে বলেছিলেন, এই পিচে ২২৯ সহজ লক্ষ্য। বল পুরনো হলেই খেলতে সুবিধা হবে। প্রত্যাশা ছিল শিশিরেরও। সে সব কিছুই হয়নি। সময়ের সঙ্গে ব্যাটিং কঠিন হয়ে যায়। বল থেমে থেমে আসছিল। বড় শট খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। শুভমন গিল ১২৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে এটিই মন্থর সেঞ্চুরি। এর থেকেই পরিষ্কার, কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমন গিল ভাইস ক্যাপ্টেন। দায়িত্ব পালন করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন শুভমন। যদিও উইনিং শট লোকেশ রাহুলের ব্যাটে। ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করেন রাহুল। ৬ উইকেটে জয়ে শুভ সূচনা।
যথারীতি ম্যাচের আগে নানা হুঙ্কার দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারত অবশ্য শুরুতেই চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশকে। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত। এরপর পাওয়ার প্লে-তে ভারতের পাওয়ারফুল বোলিং। মহম্মদ সামি, হর্ষিত রানা এবং অক্ষর প্যাটেলের সৌজন্যে ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জোড়া ক্যাচ এবং একটি স্টাম্পিং মিস না হলে বাংলাদেশ ২০০ অবধি পৌঁছতে পারত কি না সন্দেহ। বাংলাদেশ ক্যাপেন অবশ্য হারের কারণ খুঁজে নিয়েছেন।
হারের কারণ তাহলে কি? বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ে আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। ক্যাচ ফেলেছি, রানআউট মিস হয়েছে। আমরা সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারত।’ হারের কারণ এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এমন পিচে যেখানে স্পিনাররা সহায়তা পাচ্ছে, জাকের ও হৃদয় খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমরা স্পিনার কম খেলিয়েছি, তা নয়। মাহমুদুল্লাহর চোট ছিল, তাই খেলাতে পারিনি। তবে আমাদের পেসাররা শুরুতে ভালো বল করতে পারেনি। শুরুতেই কয়েকটি উইকেট নিতে পারলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারত।’