আম আদি পার্টিকে দুরমুশ করে, প্রায় ২৭ বছর পর দিল্লিতে জিত বিজেপি। শুধু আম আদমি পার্ট হার না, দলের প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরি ওয়ালও পরাজিত হলেন। অন্যদিকে, স্বপ্নপূরণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে দিল্লির তখতে বস, এতদিন অবধি বিধানসভা বিজেপির দখলে ছিল না। এবার, কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেও বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো।
দিল্লির বুকে বাম্পার জয় দিয়ে একটি ইতিহাস তৈরি করলেন নরেন্দ্র মোদি। আম আদমি পার্টিকে পরাজিত করে, প্রায় ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বিজেপি। শুধু আম আদমি পার্টিই হারেনি, হার দলের প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। যমুনায় নিমজ্জিত হলো কেজরিওয়ালের হ্যাট্রিকের স্বপ্ন। অন্যদিকে, স্বপ্নপূরণ করলেন নরেন্দ মোদি।
দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের ম্যাজিক ফিগার হল ৩৬। বিজেপির দখলে রয়েছে ৪৮টি আসন, আর আম আদমি পার্টির দখলে ২২টি আসন। এবারও কংগ্রেসকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। দিল্লি জয়ের পর এক্স পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘উন্নয়নের জয়, সুপ্রশাসনের জয় ।
১৯৯৮ সালে দিল্লিতে বিজেপির শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। এবার কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন? কেজরিওয়ালকে হারিয়ে জায়ান্ট কিলারে পরিণত হওয়া পরভেশ বর্মা? প্রয়াত পিতা সাহিব সিং বর্মার মতোই কি মোদি তাঁকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবেন? নাকি মায়ের মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন নয়াদিল্লির সাংসদ সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাসুরি স্বরাজ? আপাত অচেনা মুখ মুখ্যমন্ত্রী করে চমক দিতে পারেন মোদি?
২০১৩ সালে কংগ্রেসের ১৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তুল তিনি। আর, সেই নয়াদিল্লি কেন্দ্রে নিজেই পরাজিত। পরাজয়ের ছবি স্পষ্ট হতেই তিনি প্রতিক্রিয়া দেন, ‘আমি বিজেপিকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জান্ছি। আমি আশা করি, মানুষ প্রত্যাশা নিয়ে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে, তা তারা পূরণ করবে। আমরা এখনও গঠনমূলক বিরোধীর ভূমিকা পালন করব।’
একা কেজরিওয়াল নন, কেজরিওয়ালের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মণীশ সিসোদিয়া। একদা কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভার হেভওয়েট মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও সৌরভ ভরদ্বাজও বিজেপি ঝড়ে উড়ে গেলেন। একমাত্র শুধু মুখরক্ষা করলেন দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা। কালকাজি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে হারালেন তিনি। অন্যদিকে, ২০১৫, ২০২০-পর ২০২৫-এ এসেও, এবার দিল্লিতে খাতা খুলতে পারল না কংগ্রেস। ঝুলি শূন্যই রয়ে গেল।
আবগারি কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে দূষিত যমুনা, কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি সংস্কার, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মহাপতনের নেপথ্যে কোনটা কারণ পাঁচ বছর ধরে তারই হিসাব কষতে হবে আম আদমি পার্টির ভোট-পণ্ডিতদের। এবার বিজেপি ঝাঁপাবে বিহার বিধানসভা ভোটের জন্য। তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ক্ষমতা ধরে রাখার। নভেম্বরে ভোট বিহারে।
1 Comment
Pingback: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টির পর এক দিনের সিরিজ়ও জিতে নিলো ভারত। - প্রথম খবর