নিয়মরক্ষার ম্যাচেও হালকা ভাবে নেয়নি ভারত। জয়ের ধারা বজায় রেখেই টি২০ সিরিজ সমাপ্ত করেছে ভারত। মুম্বাইয়ে শেষ টি২০ ম্যাচে ১৫০ রানে জয় পেয়েছে ভারত। ফলে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে ভারত।
ভারত টি২০ ক্রিকেটে দ্বিতীয় বৃহত্তম জয় অর্জন করল এই ম্যাচে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচও জিতল তারা। শতরান করলেন অভিষেক শর্মা। প্রথমে ব্যাট করে ২৪৭ রান করে ভারত। সেখানেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। বাকি কাজটা করলেন ভারতের বোলারেরা। চাপে পড়ে মাত্র ৯৭ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড। ১৫০ রানে জিতল ভারত। অভিষেক একাই করলেন ১৩৫ রান। এই জয়ের ফলে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ় জিতলেন সূর্যকুমার যাদবেরা।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের কঠিন পরীক্ষা ছিল। ২৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র ফিল সল্ট ৫৫ রান করেন। বাকি কোনও ব্যাটারই সামান্য প্রতিরোধও গড়তে পারেননি।
দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেট পেলেন শামি। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেও উইকেট পাননি। তাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁর দিকে নজর ছিল সকলের। প্রথম ওভারে ১৭ রান দেন শামি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে এসে প্রথম বলেই বেন ডাকেটকে আউট করেন। আগের দুই ম্যাচে ভাল খেলেছিলেন ডাকেট। সেখান থামেননি তিনি। দ্বিতীয় স্পেলে এসে এক ওভারে আদিল রশিদ ও মার্ক উডকে ফেরান শামি। ২.৫ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। প্রত্যাবর্তনের পর এই স্পেল তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়াবে।
জস বাটলার বরুণের বলে শূন্য রানে আউট হন। হ্যারি ব্রুককে ২ রানে আউট করেন রবি বিষ্ণোই। লিয়াম লিভিংস্টোন ৯ রান করে বরুণের বলে আউট হন। জেকব বেথেল (১০), জেমি ওভার্টন (১), ব্রাইডন কার্স (৩) রান পাননি। আদিল রশিদকে ৬ রানে আউট করেন শামি। এরপর মার্ক উডকে শূন্য রানে আউট করেন শামি। তিন উইকেট নিয়ে একদিনের সিরিজ শুরুর আগে ছন্দে ফেরেন শামি।
২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০.৩ ওভারে ৯৭ রানে অলআউট হয়ে গেল পুরো ইংল্যান্ড দল। ৫৭ বল বাকি থাকতে প্রতিপক্ষকে অলআউট করা সহজ কাজ নয়। ৯৭ রানের মধ্যে ৫৫ রান একাই করলেন সল্ট, কিন্তু বাকিরা দলকে ডুবিয়ে দিলেন। ফলস্বরূপ, ১৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেল ইংল্যান্ড।