যোগেশচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে নজিরবিহীন জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই জটিলতা কাটাতে শুক্রবার কলকাতাাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের নজরদারীতে কলেজে সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তারপরও কলেজে প্রাতঃবিভাগ ও দিবাবিভাগের মধ্যে চাপা দ্বন্দ্বের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।
আসলে কী ঘটেছে সরস্বতী পুজো নিয়ে ,একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন জটিলতা তৈরি হয়েছে? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছ থেকে তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন বলে খোদ শিক্ষামন্ত্রীই জানিয়েছেন। ব্রাত্য আরও জানান, রবিবার নিজে কলেজে যাবেন এবং সরস্বতী পুজোয় অংশগ্রহন করবেন।
- আরও পড়ুন – খোদ কোলকাতায় পুলিশ পাহারায় সরস্বতী পুজোর নির্দেশ হাইকোর্টের! !মমতার আশীর্বাদে কোলকাতা হয়েছে কাবুল !
ঠিক কী নিয়ে আচমকা জটিলতা তৈরি হলো? কলেজের ভিতরে বহিরাগতরা ঢুকে অশান্তি তৈরি করে বলে অভিযোগ করেন এক ছাত্রী। তাদের প্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। আর এ থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর যোগেশচন্দ্র ডে কলেজ ও যোগেশচন্দ্র ল কলেজের পড়ুয়ারা দুটি আলাদা জায়গায় পৃথকভাবে সরস্বতী পুজো করেন। এবছর পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে যাওয়ার রাস্তায় এমনভাবে একটি প্যান্ডেল বানানো হয়েছে, যাতে ল কলেজের পড়ুয়ারা ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। এই অজুহাতে সাবির আলী নামে তৃণমূলের বহিরাগত এক নেতা তার দলবল নিয়ে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, পুলিশের নজরদারিতে হবে সরস্বতী পুজো।
শনিবার সল্টলেকের জাতীয় স্তরের জিমনাস্টিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে জানতে চান। আমি কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলেছি। পুজোর দিন আমিও কলেজে উপস্থিত থাকব। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও আগামীকাল রিপোর্ট দেব।” পুজোয় যাতে কোনো রকম বাধাবিঘ্ন বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।