মহাকুম্ভমেলায় পুনরায় পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে। ত্রিবেণী সঙ্গমে সাধুসন্তেরা একে একে ডুব দিচ্ছেন। আকাশথে চলছে ‘পুষ্পবৃষ্টি’। মঙ্গলবার গভীর রাতে কুম্ভমেলায় মৌনীমাবস্যা তিথি উপলক্ষে ‘শাহি স্নান’-এর সময় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে, যাতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যয়ের রেশ এখনও কাটেনি। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে মেলাপ্রাঙ্গণ। দিল্লির একটি সভা থেকে কুম্ভমেলার বিপর্যয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, ত্রেণী সঙ্গমে পরিস্থিতিাতত স্বাভাবিক।
- আরও পড়ুন — আবারও খালি হাতে ফিরতে হল সিবিআইকে, এখনও অসুস্থ ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলল না!
মৌনী অমাবস্যায় ‘শাহি স্নান’-এর সময়ে আকাশপথে ‘পুষ্পবৃষ্টি’ করার পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে বিপর্যয়ের পর স্নান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ফাঁকা করে দেওয়া হয় গঙ্গা যমুন এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সংযোগস্থল ত্রিবেণী সঙ্গম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার স্নান হয়। হেলিকপ্টারে ত্রিবেণী সঙ্গমে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সেই ভিডিও প্রকাশ করেছে।
অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী বুধবার বলেছেন, ‘‘আমরা অমৃত স্নানের জন্য যাচ্ছি। হাজার হাজার সাধু-সন্ত আমার সঙ্গে যাচ্ছেন। আমরা দ্রুত ঘাট খালি করে দেব, যাতে অন্যান্য পুণ্যার্থীরাও স্নানের সুযোগ পান।’’
মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে একাধিকবার ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন মোদী। দিল্লির জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘মহাকুম্ভে যে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে,যাঁরা তাদের আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। অনেকে আহত হয়েছেন। আমি উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রেখেছি। ‘শাহি স্নান’ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে গত কয়েক ঘণ্টা ধরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’’
মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে উপস্থিত হয়েছিলেন মঙ্গলবার। রাত থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে। ঘাট কাছে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে একসময় ব্যারিকেড ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। অনেকে পড়ে যান। হুড়োহুড়িতে তাঁদের উপর দিয়েই মাড়িয়ে চলে যান অনেকে। গুরুতর আহত অবস্থায় পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে প্রশাসন। এখনও সরকারি ভাবে এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।