তৃণমূলে ঘরওয়াপসির পর সোমবার দলীয় বৈঠকে রাগ-অভিমান ভুলে অর্জুন সিংকে জড়িয়ে ধরেছিলেন মদন মিত্র। গত তিন বছরে বারাকপুর জুড়ে এত হিংসা-হানাহানি, গুলি-বোমাবাজি, মৃত্যু সবকিছুর স্মৃতি ভুলে ফের কাছাকাছি এলেন মদন-অর্জুন।
ভাটপাড়ায় বিধানসভায় নির্বাচনের সময় দুই নেতার অশান্তির সাক্ষী ছিলেন অনেকেই।উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে টেলিভিশন চ্যানেলে মদন-অর্জুনের ঝগড়া দেখার মতো বিষয় হয়ে গিয়েছিল। বাঙালি তখন গিলছিল দুজনের বাক্যবাণ। গালাগালি, হুমকি সবই হত লাইভ। মদন অর্জুনকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আবার অর্জুন মদনকে মাতাল বলে কটাক্ষ করছেন। কিন্তু অর্জুন ঘরে ফিরতে ঝগড়া-অশান্তি এখন অতীত। অর্জুন বলেছেন, মদন তাঁকে বিটি রোডে চা-সিঙারা খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেছেন। কিন্তু অর্জুন ঘরে ফিরতেই সব বিবাদ ভুলে গেলেন মদন মিত্র ।
অর্জুন সিং (Arjun Singh) আগে ছিল আমার সৎ ভাই, এখন নিজের ভাই। তাহলে ওর বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলব কীভাবে? ব্যারাকপুরের সাংসদের ঘরে ফেরা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। তিনি বলেন,’অর্জুনের একটা কথা আমার খুব ভালো লেগেছে, ও বলেছে আমার কিছু ভুল হয়েছে। এটাই তো আসল কথা। ও তো বহিরাগত নয়!’ পুরনো বিবাদ ভুলে অর্জুন সিংকে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানালেন মদন মিত্র।
পাশাপাশি মদন মিত্র জানান, বিজেপির হাতে তৃণমূলের যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা অনেকে অর্জুনের তৃণমূলে যোগদান মেনে নিতে পারেনি। অর্জুন সিং খুন করেছে, এমন প্রমাণও মেলেনি। তাও অনেকের দুঃখ হয়েছে। শুধু আমরা এইটুকু বলতে চাই, আর যাতে কোনো খুনোখুনি না হয়।