২৪ ঘণ্টায় ট্রুডোকে পাল্টা জবাব দিল্লির!খালিস্তানি জঙ্গীদের মদতের দায়ে কূটনীতিককে বহিষ্কার করল মোদী !
ভারতের কূটনীতিককে বহিষ্কারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এবার কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার করল নয়া দিল্লি।পাঁচ দিনের মধ্যে ওই কূটনীতিককে ভারত থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে যে, ওই কূটনীতিক ভারতের অভ্যন্তরে খালিস্তানি জঙ্গীদের মদত করছিলেন। সেই সঙ্গে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন ।
উলেখ্য কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে সে দেশের সরকার। বিষয়টি নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একই সঙ্গে এক ভারতীয় কূটনীতিককেও বহিষ্কার করেছে তারা। তাদের অভিযোগ, ওই কূটনীতিক তদন্তে হস্তক্ষেপ করছিলেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “কানাডার নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিশ্বাস যে হরদীপ সিং নিজ্জারকে RAW এর এজেন্টরা হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে কানাডার গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো। কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি কানাডা সরকারের ।
“
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাদের পার্লামেন্টে বলেছেন, “নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁকে বলেছিলাম এই হত্যার তদন্তে ভারত সরকারের কোনও সংযোগ থাকা বরদাস্ত হবে না। এই তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কানাডার মাটিতে এক কানাডার নাগরিককে খুন করা হয়েছে। তদন্তে কোনও বিদেশী সরকারের সম্পৃক্ততা থাকা মানে আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত ।
প্রসঙ্গত বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয় “ কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিবৃতি দেখেছি এবং প্রত্যাখ্যান করেছি। কানাডায় যে কোনও সহিংসতায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ অযৌক্তিক । এই একই ধরনের অভিযোগ কানাডার প্রধানমন্ত্রী মোদীজির কাছে করেছিলেন এবং তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল”।
কানাডার সাথে উত্তাপের আভাস পাওয়া গিয়েছিল জি টোয়েন্টি সম্মেলনের মধ্যেই। ভারত এবং কানাডার সরকারের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা টের পাওয়া গিয়েছিল তখনই। জি টোয়েন্টি সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে পারস্পরিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খলিস্তানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠকে জাস্টিন ট্রুডো এক পা এগিয়ে আবার বিষয়টি ‘বাক স্বাধীনতার’ সঙ্গে তুলনা করেন। বিষয়টি যে খুব একটা ভাল নজরে দেখেনি নয়া দিল্লি, তা টের পাওয়া গিয়েছিল জি টোয়েন্টি সম্মেলনের শেষেই। জাস্টিন ট্রুডোর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া বিবৃতি দেয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। এর পরেই ভারতের সঙ্গে ট্রেড মিশন স্থগিত করেন কানাডা সরকার।