SSKM হাসপাতালের বেডেই অসুস্থ মদনের ভেঙে গিয়েছে কাঁধের হাড় !এটা হত্যার চেষ্টা নয় তো!
SSKM,এ যেনো হাসপাতাল নয় হয়ে উঠেছে এক ঘুঘুর বাসা,অপরাধীদের নিরাপদ স্থল।চিকিৎসার নামে এখানে কি চলছে এ নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।কালীঘাটের কাকুকে যেমন অসুস্থ বলে ED র মুখোমুখি হতে দেয়া হচ্ছে না ঠিক তেমনি কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ক্ষেত্রে যা হয়েছে সেটাও সন্দেহের উদ্রেক করছে।
SSKM এ হাসপাতালে ভর্তি থাকার মধ্যেই নতুন বিপদ কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের। হাসপাতাল সূত্রের খবর শ্বাসকষ্টের সঙ্গে নিউমোনিয়া নিয়ে তিনি সোমবার ভর্তি হন হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই বেডে শুয়ে বৃহস্পতিবার রাতে খিঁচুনি হতে শুরু করে। সেই সময়ে চিকিৎসকরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রবল খিঁচুনি হতে থাকায় বেডের পাশে যে রেলিং থাকে তাতে বাঁ হাতটি ছিটকে গিয়ে লাগে। এই সময়েই কাঁধের একটি হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবারই এক্সরে হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে অস্ত্রোপচার করা দরকার। তবে শারীরিক অবস্থা ততটা ভাল না থাকায় এখনই তা করা হচ্ছে না বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
সোমবার রাতে জরুরি ভিত্তিতে মদনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে ধীরে ধীরে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেন। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু নতুন করে বিপদ ডেকে আনল কাঁধের হাড় ভেঙে যাওয়ায়। তবে হাড়টি ভেঙে গিয়েছে না কি গুরুতর চোট তা স্পষ্ট করে হাসপাতালের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়নি।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার হতে পারে। তাঁর জন্য তৈরি ১০ সদস্যের যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, তারা তৃণমূল বিধায়কের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখবে। তবে এখনই কাঁধের হাড়ের চোট সারাতে অস্ত্রোপচার করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন ওই বোর্ডের এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, এখনও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। অক্সিজেন দিতে হচ্ছে, স্যালাইনও চলছে। এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার আদৌ সম্ভব নয়। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ত্রোপচার করতেই হবে।
প্রসঙ্গত একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন মানুষের মনে আসতেই পারে যে,মদন মিত্র,যিনি হাসপাতালে ভর্তির সময় ছিলেন অচেতন,পরে চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন।অপরদিকে তিনি একজন বিধায়ক,নিশ্চই তাকে দেখভালের জন্য SSKM এর ডাক্তার ,নার্সরা একটু অতিরিক্ত যত্ন নেবেন।কিন্তু চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিলেও তার শরীরে নিশ্চই এতটা শক্তি ছিলোনা যে,তার মতো একজন দূর্বল রোগীর খিচুনিতে তার কাঁধের হাড় ভেঙে যাবে! তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে SSKM এর ডাক্তার ,নার্সরা কি দেখভাল করছেন একজন বিধায়ককে,এই যদি বিধায়কের অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার কি হাল এই বাংলায় ,তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
অপরদিকে কেউ কি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরেছিলো কিনা,যার জন্য তার কাঁধের হাড় ভেঙে যাবে,এ বিষয়টিও কিন্তু উড়িয়ে দেয়া যায়না। কারণ SSKM তো এখন হয়ে উঠেছে অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্য !
তাই বিষয়টি নিয়ে অতি শীগ্রই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা দরকার।