আবার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী!আদালতের দিকে ঠেলে দায় মুক্তি চাচ্ছে তৃণমূল !
মেয়ো রোডে চাকরির দাবিতে নিরন্তর প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলের চাকরিপ্রার্থীরা। গত শনিবার ছিল ধর্নার ১০০০ তম দিন। বঞ্চনা তাঁদের জীবনকে কতটা প্রভাবিত করেছে বোঝাতে গিয়ে সেই মঞ্চে প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে এসে মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। পূর্ব মেদিনীপুর ভোগপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা চাকরিপ্রার্থীর নাম রাসমণি পাত্র। তাঁর প্রতিবাদের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা পৌঁছেছিলেন সেখানে। ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে কথা বলবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এর পর কুণালের মধ্যস্থতাতেই ঠিক হয় সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন SLST চাকরিপ্রার্থীরা। পরে রবিবার কুণাল জানান, তিনি নিজেও হাজির থাকবেন ওই বৈঠকে। তবে দলের সদস্য হিসাবে নয়। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন তিনি। সোমবার দুপুরে বিকাশ ভবনে শুরু হয় সেই বৈঠক।
বিকাশ ভবনে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এলেন চাকরিপ্রার্থী,কুনাল ঘোষ ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রার্ত্য বসু । বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুুখি হলেন তারা ।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রার্ত্য বসু আইনি জটিলতা দ্রুত কাটবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিতে পারবেন। উনিই চাকরি দেবেন। আমার জট কাটানোর চেষ্টা করছি। আদালত যা বলবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগ দিতে শুরু করব। সুপ্রিম কোর্টের একটি তারিখ পাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সেই জট কাটলেই নিয়োগ দেওয়া শুরু হবে।
চাকরিপ্রার্থী রাসমণি বলেন, কোথায় জট, তা জানতে এসেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হবে। কবে নিয়োগ সেটা ২২ তারিখ জানতে পারব। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আশা করি আমরা দ্রুত স্কুলে ফিরতে পারব। জীবনটা বাঁচবে। আমরা খুবই খুশি হয়েছি আজকে।
চাকরিপ্রার্থীরা আরও বলেন ,কিছু দিন আগে অবধি বিভিন্ন দফতরের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা হচ্ছিল। আজকের বৈঠকে বুঝলাম দফতরগুলির মধ্যে সংযোগ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আইনি জট কাটিয়ে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এখন জানতে চাই সেই ফল কবে পাবো তার তারিখ চাই। আলোচনায় বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে, তার রিপোর্ট দিতে হবে। আপাতত ২২ ডিসেম্বর সেই রিপোর্ট পেশের দিন ঠিক হয়েছে। ওই দিন মিটিংয়েই আমরা এ বিষয়ে জানতে পারবো।
শিক্ষামন্ত্রীর ডান দিকে বসে চাকরিপ্রার্থীরা। টেবিলের অপরপ্রান্তে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাঁ দিকে বসেছেন, শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিরা। রয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। যেহেতু SLST র নিয়োগপত্র পর্ষদ দেয়, তাই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে তাঁকে। এ ছাড়া রয়েছেন SSC র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, শিক্ষসচিব মণীশ জৈনও।
বিকাশ ভবনে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে কি বললেন চাকরিপ্রার্থী,কুনাল ঘোষ ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রার্ত্য বসু
দেখুন !