অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ৫,৫০০ পাতা নথিপত্র জমা পড়েছে জানানোর পরেই বিচারপতি অমৃতার প্রশ্নের মুখে ইডি!
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কী ভাবে এত সম্পত্তি হল? এর উৎস কী? ২০১৪ সালে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেল কেন? এরকম একাধিক বিষয়ে ইডির কাছে জানতে চান বিচারপতি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত শেষ হবে কিনা সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয় ইডির কাছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার ডিরেক্টর নথি জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার ইডি আদালতে জানিয়েছে, লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সিইও ৫,৫০০ পাতার নথি জমা দিয়েছেন। তারা তা খতিয়ে দেখছে। রুজিরাও এসেছিলেন। সেকশন ৫০ অনুযায়ী ইডি তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে। ইডির আইনজীবী বলেন, যে নথি এসেছে তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।
এ কথা জানার পরেই বিচারপতি সিংহের প্রশ্ন, আপনাদের কথা মতো যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। যদি সম্পত্তির পরিমাণ কম হত, তা হলে এই নথি আসত না। এটা ঠিক তো? তিনি আরও বলেন, ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন যা হয়েছে তাতে করে আপনারা কি খুঁজে দেখেছেন অভিষেক ব্যানার্জীর আয়ের উৎস কী?
বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্নের জবাবে ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রচুর নথি জমা পড়েছে। আমি বিস্তারিত বলছি না। কিন্তু অনেক নথি বলছে টাকা এসেছে। ওই কোম্পানির কত উৎপাদন হয়েছে? বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস কী? আইন আপনাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে। এটাই আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।তার পরেই আইনজীবী জানান, আয়ের উৎস নিয়ে তাঁরা অপরাধ উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন।
একই মামলায় আদালতে সিবিআই জানায়, বিভিন্ন অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সিবিআইকে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, তদন্ত দ্রুত শেষ করুন। অনির্দিষ্ট কালের জন্য কাউকে গ্রেফতার করে রাখা যায় না।
অভিষেককে ইডির কাছে নথি জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মতো ১০ অক্টোবর ইডির কাছে নথি জমা করেন অভিষেক।