আইনি জটিলতায় পিছিয়ে গেল SLST র নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি! আদৌ কি জট কাটবে?
নিয়োগের দাবিতে সুদীর্ঘ এক হাজার সাত দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।SLST চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ১০০০তম দিনে ধর্নামঞ্চে মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন এক SLST মহিলা চাকরিপ্রার্থী। কান্নায় ভেঙে পড়া অবস্থায় তাঁর আবেদন ছিল, অতিশীগ্রই তাঁর মতো চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হোক। তাঁদের কথা শুনুক রাজ্য সরকার।
এই আন্দোলনের ঝাঝঁকে কমিয়ে দিতে শাসকদলের তরফে কুণাল ঘোষ চোর গাল শুনেও,জুতোর বাড়ি খেয়েও আন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়ে গিয়েছিলো। আর এরপরেই গত ১১ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিকরা। এই বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেছিলেন আইনি জট কাটলেই নিয়োগ হবে। আর শিক্ষামন্ত্রীর এই কথাতেই একটু হলেও আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন রাজ্যের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
কিন্তু গত ১৪ ডিসেম্বর ছিল সুপ্রিম কোর্টের সুপার নিউমেরারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এই শুনানির তারিখও পিছিয়ে গিয়ে হয়েছে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি।
আর এই কারণেই প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যের যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী ২২ ডিসেম্বর ফের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের এমন টালবাহানা দেখে তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ঠিকই নিয়োগ হতো, বারবার বৈঠক এবং আলোচনার প্রয়োজন পড়ত না।
তবে ১১ ডিসেম্বরের বৈঠকে প্রশাসনের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হলেও নিয়োগের স্বপ্ন কিন্তু সেই বিশ বাওঁ জলেই। আর এই কারণেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, নিয়োগ দিতে না পারলে প্রশাসন নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করুক এবং পুলিস ফোর্স পাঠিয়ে গুলি করে মেরে ফেলুক প্রার্থীদের। তবুও নিয়োগ না পেলে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে কোনওভাবেই সরে দাঁড়াবেন না বলে জানালেন চাকরিপ্রাথীরা।
আদতে রাজ্য সরকার হয়তো জানতো এই সুপ্রিম কোর্টে অন্যান্য দুর্নীতির মামলা গুলোর মতো এই মামলাটিও পিছিয়ে যেতে পারে,তাই আদালতের দিকে মানুষের দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে নিজেদের দোষ ঝেড়ে ফেলতে কুনাল ঘোষ আর ব্রার্ত্য বসু মিলে বৈঠকের নাটক সাজিয়ে ছিলো।
উলেখ্য দীর্ঘ প্রশাসনিক টালবাহানায় আটকে রয়েছে ২০১৬ সালের এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ। এই ইস্যুতে বারংবার একাধিক বৈঠক, একাধিক আলোচনা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতির বন্যায় রাজ্যের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ভবিষ্যৎ এখনও সেই অন্ধকার তিমিরেই।