নতুন বছরের শুরুতেই উদ্বোধন হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের। ২২ জানুয়ারির আগে এস মাসও সময় বাকি নেই, অযোধ্য জুড়ে এখন থেকেই যেন উৎসবের প্রস্তুতি। রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে ঢেলে সেজে উঠছে উত্তর প্রদেশের এই শহর। আগামী দশ বছরের মধ্যে মোট ৮৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে এই পূণ্য ভূমিতে।
আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। তবে মন্দিরের সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি। ২২ জানুয়ারি আপাতত রাম মন্দিরের গর্ভগৃহেরই উদ্বোধন হবে। ১৫ জানুয়ারি থেকেই রাম মন্দিরে পূজা-অর্চনা শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে আজ অযোধ্যায় রোড শো শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক জনসভা থেকে রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন দেশবাসীকে অযোধ্যায় না আসার অনুরোধ জানালেন । তার পরিবর্তে ওই দিন দেশবাসীকে ‘ দীপাবলী’ পালনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন,২২ জানুয়ারি প্রতিটি ভারতবাসী বাড়িতে রামজ্যোতি প্রদীপ জ্বালাবেন।যাঁরা অযোধ্যায় যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তা, ২৩ জানুয়ারি থেকে সকলেই সেখানে যেতে পারবেন।
শনিবার অযোধ্যার নবনির্মিত রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরের উদ্বোধন করে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে, তিনি অযোধ্যার উন্নয়ন নিয়ে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলির সবগুলিই প্রায় রক্ষা করতে পেরেছেন। অযোধ্যাকে ‘স্মার্ট সিটি’ হিসাবে তুলে ধরার কথাও জানান তিনি।
মূলত রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে অযোধ্যাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে তিন লক্ষ ভক্ত সমাগম হবে বলেই আশা করা হচ্ছে এই শহরে। শুধু দেশ নয় একইসঙ্গে বিদেশ থেকে নাগরিকরা আসবনে রাম মন্দির দর্শনে। তাই শহরের পরিকাঠামোকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
উলেখ্য অযোধ্যার মূল শহরের পাশে একটি টাউনশিপ তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নতুন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী মোদী শনিবারই সকালে অযোধ্যায় গিয়েছেন । এই সফরেই নতুন টাউনশিপ প্রকল্পের শিল্যানাস করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রসঙ্গত অযোধ্যা শহরকে গ্লোবাল ট্যুরিজিম সেন্টারে পরিণত করাই লক্ষ্য। পাশাপাশি দেশের সাংস্কৃতিক পীঠস্থান হিসাবেও অযোধ্যাকে গড়ে তুলতে তৎপর কেন্দ্রীয় ও উত্তরপ্রদেশ সরকার।
একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী আরও উল্লেখ করেছেন, ‘এখানকার স্থায়ী বাসিন্দাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই সাজানো হবে শহরকে। সেইসঙ্গে এই শহরে আগত পর্যটকরাও যাতে আধুনিক পরিষেবা পান সেটাও নিশ্চিত করা হবে। সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হবে পর্যটন শিল্পে। কারণ দেশ বিদেশের পর্যটকরা এখানে আসবেন।’