বাংলাদেশে পলাতক শেখ শাহজাহান ! BSF কে সতর্ক করলো ED!
বর্তমানে কোথায় রয়েছেন সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান? ইডি(ED) মনে করছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ (Sheikh Shahjahan) হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতার খোঁজ করতে করতে এমনটাই মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের খোঁজ করতে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও ইডির একটি সূত্রে খবর। এ-ও জানা যাচ্ছে যে, তৃণমূল নেতাকে ধরতে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ‘ঘনিষ্ঠ’ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan)বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। তাঁর অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন তিন ইডি আধিকারিক। তার পর থেকে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে গন্ডগোলের মাঝে আচমকা ‘বেপাত্তা’ শাহজাহান। সরবেড়িয়ার আকুঞ্জবেড়িয়ার বাড়িতে নেই তৃণমূল নেতা। প্রাথমিকভাবে ইডি মনে করছে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন তিনি। আইবি এবং বিএসএফকে সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে যায় ইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল। কিন্তু সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়িতে ইডি আধিকারিকেরা পৌঁছনোর আগেই ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তার মধ্যেও তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁকে ডাকাডাকি করেন ইডি আধিকারিকেরা। ভিতর থেকে সাড়াশব্দ না মেলায় দরজা ভাঙার চেষ্টা হয়। ঠিক সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। এর পর ইডি আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন শাহজাহানের অনুগামীরা। ভাঙচুর চলে গাড়িতে। সেই সময়েই তিন ইডি আধিকারিক জখম হন। বর্তমানে তাঁরা সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে, শাহজাহান মোটর বাইকে করে পালিয়ে যান বলে স্থানীয় একটি সূত্রে খবর।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল (TMC)। বদলায় পরিস্থিতি। মাথার উপর থেকে হাত সরে যায় বাম বিধায়কের। বিপাকে পড়েন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তার পর ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। বাম আমলে অবশ্য শাহজাহান কোনও পদ পাননি। কিন্তু সূত্রের খবর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই শাহজাহানকে নিয়ে এসেছিলেন জোড়াফুলে। তাঁর সাহায্যেই সাংগঠনিক পদ পান শাহজাহান। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নুসরত জাহানকে সন্দেশখালিতে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। সংখ্যালঘু ভোট একত্রিত করে নুসরতকে জেতানোর ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। যার পুরস্কার স্বরূপ পঞ্চায়েত ভোটে শেখ শাহজাহানকে প্রার্থী করে তৃণমূল। জিতে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি। ‘দাপুটে’ ওই তৃণমূল নেতাকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।