২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি !মেয়েকে লেখা জ্যোতিপ্রিয়র চিঠির সূত্র ধরে গ্রেফতার শংকর আঢ্য!
রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডি(ED) র হাতে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।আদালতে তদন্তকারীদের দাবি, ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয় ইডির আরও দাবি, শংকর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা দুবাই এবং বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় অপরাধ নয় বলেই পালটা সওয়াল বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আইনজীবীর।তাদের দাবি শঙ্করের তাঁর মক্কেল ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার লাইসেন্স আছে,বৈধ ব্যবসা করেন।
ইডির দাবি, গত ১০ বছর ধরে এই ‘দুর্নীতি’ চলছে। ED জানায় , মোট ৯০টি ফরেক্স সংস্থার (বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থা) মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হয়েছে। বিভিন্ন বিদেশি অ্যাকাউন্টে ডলার আকারে গিয়েছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা। শঙ্করের এক পরিচিতের কাছ থেকে সে কথা জানা গিয়েছে বলে দাবি ইডির।
শঙ্কর আঢ্যর মাধ্যমে বিদেশে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর। এই টাকা প্রথমে ফরেক্স সংস্থার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা তথা ডলার এ পরিবর্তন করা হয়েছে।এই টাকা পরে গিয়েছে দুবাইতে। হয় সরাসরি, নয়তো বাংলাদেশের মাধ্যমে ওই টাকা দুবাইতে পাঠানো হতো।
ধৃত শঙ্করকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে ইডি(ED)। তারা জানায়,SSKM হাসপাতালে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ রেখেছিলেন শঙ্কর। সেই চিঠি ইডি হাতে পেয়েছে। সেখানে একাধিক নামের উল্লেখও রয়েছে। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর কন্যার মধ্যে এই চিঠি লেনদেন হয়।ওই চিঠিতে কয়েকজনের নাম লিখে দিয়েছিলো জ্যোতিপ্রিয় এবং তার মেয়েকে চিঠিটা দিয়ে বলেছিলো ওই কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে এবং সেই টাকা অন্য একজনকে দিতে হবে।সেই চিঠিটা হাতে পায় ED এবং সেই চিঠির সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে শঙ্করকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।