ইডির বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআরে ভিন্ন ঘটনা সাজিয়েছে রাজ্য পুলিশ! এসব চালাকির জন্য স্থগিতাদেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট!
সন্দেশখালিতে ED র ওপর হামলার ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধেই এফআইআর(FIR) দায়ের করেছিলো রাজ্য পুলিশ । সেই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডি (ED)র বিরুদ্ধে করা এফআইআর(FIR) নিয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে তল্লাশি চালাতে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি (ED)। কিন্তু শাহজাহানকে পাওয়া যায়নি। উল্টে ওই বাড়ির সামনে বিক্ষোভের মুখে পড়েন ইডি (ED) আধিকারিকেরা। বিক্ষুব্ধ জনতার মারও খেতে হয়। তিন জন ইডি (ED) আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই ঘটনার পর। সন্দেশখালির ঘটনায় ইডি (ED) র বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এর ভিত্তিতে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।উল্টে রাজ্যের কাছে এই ঘটনার কেস ডায়েরিও তলব করা হয়েছে। ইডি (ED)র বিরুদ্ধে করা এফআইআর(FIR) নিয়ে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা জানতে চান, ইডি আধিকারিকেরা কি শাহজাহানের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন? ইডির আইনজীবি জানায়, অনেক চেষ্টা করেও বাড়িতে তারা ঢুকতে পারেনি। অনেক বার শাহজাহানকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় তাঁর মোবাইল ব্যস্ত ছিল। ইডি (ED)র অনুমান, ওই সময়েই তিনি তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে প্রায় তিন হাজার লোক বাড়ির সামনে জড়ো করেছিলেন তৃণমূল নেতা। তাঁর ফোন ঘেঁটে জানা গিয়েছে, অন্তত ২৮ বার ফোন করা হয়েছে ওই সময়ের মধ্যে। ইডির দাবি, ফোনের টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী, শাহজাহান সেই সময়ে বাড়িতেই ছিলেন।
সন্দেশখালির এই ঘটনা নিয়ে একই দিনে তিনটি এফআইআর(FIR) দায়ের করা হয়েছিল স্থানীয় থানায়। তার মধ্যে দু’টি এফআইআর(FIR) র বয়ানে কোনো মিল নেই। বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, এফআইআর গ্রহণ করার আগে কি পুলিশ ন্যূনতম অনুসন্ধান করেছিল? পুলিশের দুটো অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে,কোনো মিল নেই।
বিচারপতি মান্থার কড়া পর্যবেক্ষণ, পুলিশের কি এক বারও মনে হল না, একটু আগে এই একই ঘটনা নিয়ে যে এফআইআর গ্রহণ করা হয়েছে আর পরে যিনি এসেছিলেন তিনি অন্য কথা বলেছেন!আর দুটো FIR এ ওসি চোখ বন্ধ করে সাক্ষর করে দিলেন কিসের ভিত্তিতে ? পুলিশের এটা কী ধরনের বোকামি?
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ED র বিরুদ্ধে কোনো প্রকার তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে বলেন , এ ক্ষেত্রে কোনও চালাকি হয়ে থাকতে পারে তাই এফআইআরের কপি সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে পারেন বলে জানিয়েছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।