জীবনে কখনও বিড়ি বাঁধেননি যাঁরা, তাঁরাই আজ ‘ফোটোশুট’ করছেন। রাহুলকে তীব্র কটাক্ষ মমতা ব্যানার্জীর !
নাম না করেই শুক্রবার রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলায় জোটের বিষয়েও কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী। বললেন , কংগ্রেস যা করে করুক,বাংলায় বিজেপিকে ঠেকাবে তৃণমূল। আর কংগ্রেসের সাথে জোট ভাঙার জন্য দায়ী সিপিএম !
রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র মাঝে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে গিয়ে বিড়িশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধী । তাঁদের সমস্যার কথা শোনার সাথে সাথে তাঁদের সঙ্গে বসে বিড়িও বাঁধতে দেখা যায় তাকে। শুক্রবার সেই প্রসঙ্গই উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। যদিও রাহুলের নাম এক বারেরউচ্চারণ না করে মমতা বলেন, এখন নতুন একটা ফ্যাশন হয়েছে।ভোট এসে গেছে,অতিথি পাখিদের আনাগোনা হচ্ছে আর শুধু ফোটোশুট হচ্ছে। জীবনে কখনও চায়ের দোকানে বসেনি,শিশুদের আদর করেনি,শিশু কী জিনিস, জানে না।জীবনে কখনও বিড়ি বাঁধেনি।হয়তো বিড়ির বদলে হয়তো অন্য কিছু খায়। তারা আজ ফোটোশুট শুরু করছে।
এর আগে জোট-প্রসঙ্গ তুলেও কংগ্রেসকে বিঁধেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোট নিয়ে রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের সঙ্গে আসন সংঝোতার প্রক্রিয়া চলছে। সেই বক্তব্যকে তুঁড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মমতা বলেন, কংগ্রেসকে দু’টি আসন ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারা কংগ্রেস কথা শোনেনি। তার পর থেকে আর কোনও আলোচনা হয়নি। মমতার কথায়, ‘‘আমিও রিজেক্ট করে দিয়েছি।কারও সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। আমার প্রস্তাব প্রথম দিনেই প্রত্যাখ্যান করেছে!এরপর আমার সঙ্গে কারও কোনও আলোচনা হয়নি।
শুক্রবার ধর্না মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি কংগ্রেসকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তোমরা সারা দেশে ৩০০টি আসনে লড়ো। আর বাকি ২৪৩টি আসনে আঞ্চলিক দলগুলি লড়ুক,যার যেখানে শক্তি বেশি । ওরা শুনল না। মাতুব্বরি করল। আজ কী হলো ?
এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বিজেপিকে ঠেকাতে বাংলায় একাই লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস । তাঁর কথায়, কংগ্রেস যা করছে করুক, বাংলায় আমরা বিজেপিকে ঠেকাব।
এর পর কংগ্রেসের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, কংগ্রেস সারা দেশে ৪০টি আসন পাবে কিনা জানি না! আগে নিজের জায়গা করে দেখাও। পারলে বারাণসীতে গিয়ে বিজেপিকে হারাও। রাজস্থানে তোমরা জেতা জায়গা হেরেছ। মধ্যপ্রদেশে গিয়ে বিজেপিকে হারাও।
পশ্চিমবঙ্গের পুলিশি ‘বাধা’ টপকে শুক্রবারেই রাহুল গান্ধীর ‘ন্যায় যাত্রা’ বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢুকেছে। সেই দিনেই রাহুলের যাত্রা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,হঠাৎ করে দেখলাম বাংলায় চলে এল! এক বার বললও না, কোন রাস্তা দিয়ে যাবে। আমরা নাকি ইন্ডিয়ার(INDIA) জোটের পার্টনার! এক বার বলার প্রয়োজন মনে করল না। মিথ্যা কথা রটাচ্ছে।