নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) প্রয়োগ বানচাল করতে ‘আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে’ বলে চিঠি ছড়িয়েছে কুচক্রী মহল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সম্প্রতি ফের দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) রূপায়ণের বার্তা দিয়েছেন।আর এই CAA কে বানচাল করতে ‘আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে’ বলে চিঠি ছড়িয়ে গোটা বিষয়টি ঘিরে আরও বেশি সংশয় এর ভেতর ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছে কিছু কুচক্রী মহল।
ভারতে থাকার শর্ত পূরণ করতে পারেননি,তাই আধার আইন অনুযায়ী , ২০১৬-র ২৮ এ ধারা অনুযায়ী আপনার আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে— এই মর্মে নোটিস পাওয়ার দাবি করেছেন এ রাজ্যের বহু বাসিন্দা।উৎকণ্ঠাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।যার জেরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে জনমানসে।দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) রূপায়ণের বার্তা দেওয়ায়, গোটা বিষয়টি ঘিরে আরও বেশি সংশয় তৈরী হয়েছে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। মাথা চাড়া দিচ্ছে এমন নোটিসের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে।
উলেখ্য সমাজমাধ্যমে ঘুরতে থাকা আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার নোটিসের ‘লেটারহেড’ দেখে অবশ্য সোমবার প্রাথমিক ভাবে ইউআইডিএআই(UIDAI) সূত্রের দাবি, সেটি সম্পূর্ণ ভাবে ভুয়ো। আধার কতৃপক্ষ অনুযায়ী , কারও ভারতে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এ ভাবে আগেই আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা হয় না।নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাভুক্ত ‘ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিস (FRRO)’ কারও ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ না থাকার কথা জানালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আধারের আঞ্চলিক দফতরে (পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রে যেমন রাঁচী) ডেকে নাগরিকত্বের প্রমাণ সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলা হয়। তা দিতে না পারলে তখন আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করার প্রশ্ন ওঠে। অন্যদিকে আধার সংশোধন বাধ্যতামূলক নয়। ফলে সেটি নিষ্ক্রিয় করার কোনও নির্দেশ এখনও পর্যন্ত নেই।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো নোটিসে বলা হয়েছে, আধার নিষ্ক্রিয় করা নিয়ে অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইউআইডিএআইয়ের আঞ্চলিক দফতর কিংবা আধারের ওয়েবসাইটে তা জানাতে হবে। অথচ সেখানে যে ওয়েবসাইট এবং ইমেইল দেয়া রয়েছে তাদের মধ্যে কোনো মিল নেই।
এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে আধার নিষ্ক্রিয় হওয়া নিয়ে চর্চায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এর কারণ শুধু ভর্তুকি পাওয়ার জন্য নয়, এখন নানা ব্যাংক থেকে রেশন সহ সরকারি পরিষেবায় মানুষের কাছে আধার নম্বর চাওয়া হয় ।ফলে সব মিলিয়ে আধার নম্বর আচমকা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে কার্যত জলে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে গ্রাহকদের মনে।
এ নিয়ে ইউআইডিএআই(UIDAI) এর তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে তাদের সূত্রের খবর, যে ‘লেটারহেড’ বা বয়ান নোটিসে রয়েছে, তা প্রাথমিক ভাবে ভুয়ো বলেই মনে হয়েছে তাঁদের। এর কারণ আধার নাগরিকত্ব প্রমাণের পরিচয়পত্র নয়।