CAA: মার্চের প্রথম সপ্তাহেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) লাগু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার !
লোকসভা নির্বাচনের আগে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট কার্যকর হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) নিয়মগুলিকে যে কোনও সময় অবহিত করতে চলেছে ।ইন্ডিয়া টুডে টিভির সূত্র জানিয়েছে,মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিধি লাগু করে দিতে চায় কেন্দ্র৷
এখনও পর্যন্ত যা অনুমান করা হচ্ছে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা,তাতে আগামী এপ্রিল মাস থেকে শুরু হতে পারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ৷ যা চলতে পারে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৷
প্রসঙ্গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে ২০১৯ সালে প্রণীত CAA, এই বিষয়ে নিয়ম জারি করার পরে এই বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যকর করা হবে।
তিনি আরও বলেন আমাদের মুসলিম ভাইদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং (সিএএ-র বিরুদ্ধে) প্ররোচিত করা হচ্ছে। সিএএ শুধুমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে নিপীড়নের মুখোমুখি হয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি কারও ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয় ।
উলেখ্য ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ সংসদ কর্তৃক প্রণীত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এর ফলে , ভারত জুড়ে তীব্র বিতর্ক এবং ব্যাপক প্রতিবাদের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো । ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অভিবাসীদের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের পথ হলো CAA এবং এটা শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা তাদের নিজ দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের সম্মুখীন হওয়ার কারণে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ এর আগে ভারতে বা তার আগে প্রবেশ করেছিল।CAA নিয়ে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান কর্মসূচি এবং আসামের গুয়াহাটিতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। কোভিড এর বিধিনিষেধ এবং লকডাউনের সময় সমস্ত প্রতিবাদ ম্লান হয়ে যায়। সংসদে পাস হওয়ার চার বছর পরেও, নিয়ম এবং প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত না হওয়ার কারণে সিএএ কার্যকর করা হয়নি।
উলেখ্য পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) কার্যকরের বিরোধী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই গোটা প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা ন্যূনতম করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র সরকার । সে অনুযায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার সামগ্রিক পরিকল্পনা অনলাইনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা। ওই অনুযায়ী , একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ইচ্ছুকেরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী কোন সালে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, সেই তথ্য পোর্টালে দিতে হবে। ওই আবেদন খতিয়ে দেখে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমেই শংসাপত্র দেয়া হবে !