সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই, ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআইয়ের জালে শেখ আলমগির!
সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই (CBI)-এর কাছে ধরা পড়েছে শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির।
টানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর, শনিবার রাতে আলমগিরকে গ্রেফতার করা হয়।এদিন, শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আরো তিনজনকেও একই সাথে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার সকালে আলমগির নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন।তাঁর সঙ্গে আরও চারজন এসেছিলেন। সিবিআই-এর দ্বিতীয় তলবে সাড়া দিয়ে, এদিন তাঁরা কলকাতায় সিবিআই-এর দফতরে হাজির হন। এরপর, দুপুর ১২টা থেকে, টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব চলে।
‘সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে ৫৫ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার সময় শাহজাহানকে আলমগির সাহায্য করেছিল। এছাড়াও, সন্দেশখালির ইডির উপর হামলার ঘটনায় শাহজাহানের ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়েও তাঁরা অবগত। এই সূত্রে, আলমগিরকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিরা একাধিকবার ডেকে পাঠিয়েছে। শনিবার, হাজিরা দেয়ার পর, আলমগির-সহ অন্যান্যদের CBI-রা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।’
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, সিআইডি থেকে সিবিআই-এ তদন্তের দায়িত্ব অর্পিত হওয়ার পর, শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লা, দিদারবক্স মোল্লা, এবং ফারুক আকুন্জিকে সিবিআই গ্রেফতার করে। ১১ মার্চ, তাঁদেরকে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে, তদন্তকারীরা গ্রেফতার করেন।
গত কয়েক দিনে সন্দেশখালি কাণ্ডে ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দফায় দফায় সন্দেশখালিতে গিয়ে অভিযান চালায় এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। শনিবারের একটি দল সন্দেশখালিতে গিয়েছিল, সিবিআই-র সূত্রের খবর। এদিন সমান্তরালভাবে নিজাম প্যালেসে আলমগীর সহ সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে।
সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলা চালানোর দিনে আলমগিরের উপস্থিতি এবং ঘটনায় সাহায্য করার প্রমাণ তদন্তকারীরা পেয়েছেন। বিভিন্ন স্থানের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের মাধ্যমে এই তথ্য উন্মোচিত হয়েছে। একই সাথে, শাহজাহানের মোবাইলের কল-রেকর্ডের মাধ্যমে, কাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তা-ও CBI-রা জানা।এই সমস্ত প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি শেখ আলমগির। শেষ পর্যন্ত রাতে গ্রেফতার হলেন শাহজাহানের ভাই আলমগির। রবিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।
সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, গত ১৩ মার্চ সন্দেশখালি কাণ্ডে জড়িত ১৫ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। এই সকলকে নিজামে তলব করা হয়েছিল। শাহজাহানের ভাই আলমগীরের পাশাপাশি, মাফুজা মোল্লা, আবুহোসেন মোল্লা ওরফে দুরন্ত মোল্লা-সহ একাধিক ব্যক্তিকে নোটিস ধরিয়েছে।
সকলেই শাহজাহানকে ঘনিষ্ঠ হিসেবে চেনে। অভিযুক্তরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে না থাকায়, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে নোটিস তুলে দিয়েছেন। যদি কোনো কারণে উপস্থিত হতে না পারা যায়, তাহলে নোটিসের উল্লিখিত ফোন নম্বরে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।