৯ বার সমন ইডির সমন অগ্রাহ্য করার ফল পেলো অরবিন্দ কেজরীওয়াল,গ্রেফতার করলো ইডি (ED) ।
‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে বৃহস্পতিবার রাতে ইডি গ্রেফতার করে। আবগারি দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ৯ বার সমন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, তিনি কোনো হাজিরা দেননি। এরপর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায়, ইডি তাঁর বাড়িতে পৌঁছায়।’
দুই ঘণ্টা ধরে চলা তল্লাশি অভিযানের শেষে তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপর, রাত ৯টা নাগাদ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের চারপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার আপ প্রধানকে পিএমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে হবে। দিল্লির মন্ত্রী এবং আপ নেত্রী অতিশী জানান, কেজরীওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। তিনি জেলের মধ্যে থেকেও সরকার চালাবেন।
#WATCH | Delhi CM and AAP national convenor Arvind Kejriwal brought to the ED Headquarters.
Enforcement Directorate team arrested him in the Excice Policy Case. pic.twitter.com/iMSzw6QmgF
— ANI (@ANI) March 21, 2024
কেজরীওয়াল হলেন দেশের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি, যিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেফতার হন। এর আগে, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে ইডি গ্রেফতার করে। তিনি গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পর, তাঁর বাসভবনের সামনে ‘আপ’ কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখায়। এরা, গোটা রাজধানী জুড়ে, প্রতিবাদের সূচনা করে।
দিল্লির আবগারি মামলায় আপ প্রধানকে মোট ন’বার সমন পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু তিনি আট বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। শেষে পাঠানো সমনে, বৃহস্পতিবারের দিনে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।
কিন্তু হাজিরা না দিয়েই কেজরীওয়াল হাই কোর্টের শরণাপন্ন হন। হাই কোর্ট যখন তাঁর আবেদনটি খারিজ করে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। আদালতে দাখিল করা আবেদনে, কেজরীওয়ালের দাবি, “ইডি-র কাছে আমি এই আশ্বাস চাই, যে, তাদের ডাকে সাড়া দিলে, আমার বিরুদ্ধে কোনোরূপ কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবেনা।”
‘আপের (AAP) অভিযোগ ছিল যে, ইডির উদ্দেশ্য জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এত দিন পরেও তারা এই মামলায় কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি। তাই, লোকসভা ভোটের আগে, সমন পাঠিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুরেশকুমার কাইথ এবং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চে কেজরীওয়ালের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তবে আমরা এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দেওয়ার কথা দিচ্ছি না।’’ হাই কোর্ট রক্ষাকবচ না দেওয়ার পরেই ইডি তৎপর হয়ে উঠে। আবগারি মামলায় বিআরএস নেত্রী কে. কবিতাকে কয়েক দিন আগেই ইডি গ্রেফতার করে।
বর্তমানে তিনি আদালতের নির্দেশে ইডির হেফাজতে আছেন। কবিতা ছাড়াও, এই মামলায় এখন পর্যন্ত আপের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা, সিসৌদিয়া এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ, সঞ্জয় সিংহ, গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরা তিহাড় জেলে রয়েছেন।