‘যদি সত্যজিৎদা এখন বেঁচে থাকতেন, তাহলে হীরক রানির দেশে ছবি বানাতেন’, শ্রীরামপুরে মমতাকে খোঁচা অমিতের!
বাংলায় ভোট প্রচারে এসে, এইবার বাঙালির সংস্কৃতি মনস্কতাকে হাতিয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সত্যজিৎ রায়ের আবেগে শান দিয়েছেন।
বুধবার মশাটে অনুষ্ঠিত জনসভায় শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীরশংকর বোসের পক্ষে অমিত শাহ বক্তৃতা দেন। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রীকে লক্ষ্য করে বলেন, “আমাদের সত্যজিৎ রায় একজন বিশিষ্ট শিল্পী ছিলেন। তাঁর ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবিটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে তিনি না থাকলেও, তিনি বেঁচে থাকলে ‘হীরক রানির দেশে’ নামে একটি ছবি নির্মাণ করতেন।” এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহল এবং সংস্কৃতি সচেতন মানুষের মধ্যে বিতর্ক ও আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অমিত শাহ সত্যজিৎ রায়কে কতটা জানেন এবং তিনি যে ছবির কথা বলছেন, সেটি কি তিনি দেখেছেন কিনা।
এই সভায় অমিত শাহ সিএএ এবং অনুপ্রবেশ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভাইপো’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি ও আপনার ভাইপো যাই বলুন না কেন, CAA কার্যকর হবে। আমরা প্রতিটি শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেব এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ করব। বিজেপিকে জিতিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ করুন, তাহলে সীমান্ত দিয়ে একটি পাখিও প্রবেশ করতে পারবে না।”
শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী এবং বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অমিত শাহের তীব্র সমালোচনা, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপ-রাষ্ট্রপতি এবং সাংবিধানিক পদের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন! কল্যাণ ব্যানার্জি, লজ্জা করুন, লজ্জা করুন, লজ্জা করুন। আপনি শ্রীরামপুরের জনপ্রতিনিধি। উপরাষ্ট্রপতির প্রতি এই ধরনের মন্তব্য অনুচিত!” এরপর তিনি আহ্বান জানান, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে কবীরশংকর বোসকে জয়ী করার জন্য। বাংলা থেকে বিজেপিকে ৩০টি আসন দেওয়ার আবেদন করেন।