চন্দ্রবাবু নাইডুকে নিয়ে টানাটানি! বাংলায় ঝড় তুলে দিল্লিতে পাশা পাল্টে দেয়ার বড় ইঙ্গিত মমতার!
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রায় স্পষ্ট। বাংলায় তৃণমূল ২০টির বেশি আসনে নয়, ২৯টিতে এগিয়ে আছে। অন্যদিকে, বিজেপি ১২টি আসনে এগিয়ে আছে। সারা দেশে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৪টি আসনে এবং ইন্ডিয়া জোট ২৩২টি আসনে এগিয়ে আছে, অন্যান্যরা ১৭টি আসনে। বুথফেরত সমীক্ষার বাংলার ফলাফলের পূর্বাভাস মিলছে না বলে সন্দেহ নেই। মঙ্গলবার এই ইঙ্গিত স্পষ্ট হওয়ার পর, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এক বিশেষ বৈঠক বসে। খবর অনুযায়ী, মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছেন।
একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে মমতা বলেছেন, “গণনা এখনও চলমান। দয়া করে ধৈর্য ধরুন। আমি সকলকে অভিনন্দন জানাই। সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।”
বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের ভালো ফলাফলের বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন। ইভিএম খোলার পর দেখা গেল, ২০১৯-এর প্রতিঘাত সামলে তৃণমূল বিজেপিকে প্রায় মাটিতে নামিয়ে এনেছে। মমতা ও অভিষেকের দাবি অনুযায়ী, তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে, যা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি খবর অনুযায়ী, এনডিএ-র শরিক দল হিসেবে টিডিপি এবং জেডিইউ কংগ্রেসের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখছে। অনেকে মনে করছেন যে এই যোগাযোগে মমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।
এই নির্বাচনে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি, বিজেপি এবং পবন কল্যাণের জনসেনা মিলে জোট বেঁধে ভোটে অংশ নিয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভা এবং বিধানসভা উভয় নির্বাচনই সম্পন্ন হচ্ছে, যেখানে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। ১৭৫ আসনের বিধানসভায় টিডিপি ১৩২টি আসনে, জনসেনা ২০টি আসনে এবং বিজেপি ৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে ওয়াইএসআর কংগ্রেস মাত্র ১৬টি আসনে এগিয়ে আছে। লোকসভা নির্বাচনে টিডিপি ১৬টি আসনে, বিজেপি ৩টি আসনে এবং জনসেনা ২টি আসনে এগিয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস টিডিপিকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে, যদিও মোদী এবং শাহ ইতিমধ্যেই টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবুকে ফোন করেছেন।