কালো মেঘ দেখছে ‘ইন্ডিয়া’,সাংসদ পদ খোয়াতে পারেন বিরোধী শিবিরের ৬ সাংসদ!
এইবার লোকসভায় বিরোধী জোট ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A) অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। তবে এই শক্তি কতদিন টিকবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই চিন্তায় বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের শিবিরে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ বিরোধী শিবিরের প্রায় ছয় জন সাংসদের উপর শাস্তির খড়্গ ঝুলছে, যার ফলে তাদের দুই বছরের বেশি সময়ের জেল হতে পারে। তবে ভোটের পর ইন্ডিয়া জোট কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে, কারণ মহারাষ্ট্রের নির্দল সাংসদ বিশাল প্যাটেল এবং বিহারের পাপ্পু যাদব কংগ্রেসকে নির্শর্ত সমর্থন জানিয়েছেন। এই দুই সাংসদের যোগদানের মধ্যেই ছয় সাংসদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের শিবিরে।
যে ৬ জন সাংসদ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, তারা হলেন
আফজল আনসারি – তিনি গাজিপুরের সাংসদ এবং গ্যাংস্টার হিসেবে পরিচিত। মুখতার আনসারির ভাই হিসেবেও তাঁর পরিচয় রয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে চার বছরের জন্য জেলে ছিলেন। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। জুলাই মাসে তাঁর শুনানি নির্ধারিত আছে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে।
ধর্মেন্দ্র যাদব -আজমগড়ের সংসাংসদ । তাঁর বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যদি তিনি দুই বারের বেশি বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন, তাহলে তাঁকে সাংসদ পদ হারাতে হবে।
বাবু সিং কুশওয়াহারা- জৌনপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে NRHM কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত ২৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাগুলো মায়াবতীর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে দায়ের করা হয়েছিল।
রামভুয়াল নিষাদ- আটটি মামলা বিচারাধীন আছে। সুলতানপুর থেকে মানেকা গান্ধীকে পরাজিত করে তিনি সাংসদ হন। এর মধ্যে একটি মামলা গ্যাংস্টার আইনে দায়ের করা হয়েছে।
বীরেন্দ্র সিং- উত্তর প্রদেশের চন্দ্রমৌলি কেন্দ্রের সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইমরান মামসুদ- সাহারনপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলমান।
ভারত জোটের সাংসদদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলি মূলত আর্থিক তছরুপ, ভীতি প্রদর্শন, এবং গ্যাংস্টার আইনের ধারায় দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করতে হবে। এর আগে, ফৌজদারী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে মহম্মদ আজহার খান, খাবু তিওয়ারি, বিক্রম সাইনি, অশোক চন্দেল প্রমুখ রাজনৈতিক নেতারা তাদের সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন।