উদয়নের মতো লক্ষীর ভান্ডারের টাকাকে তৃণমূলের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে বন্ধের হুমকি কুনাল ঘোষের !
খেজুরিতে কুণাল ঘোষ হামলাকারীদের প্রতি সতর্কবাণী জারি করেছেন। এক জনসভায় তিনি বলেন, “যে সকল ব্যক্তি তৃণমূলের উপর হামলা চালাচ্ছেন, তারা নিজেরাও তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থ প্রাপ্ত। তাদের জানা উচিত যে, তাদের অর্থ বন্ধের দাবি উঠেছে। যারা হামলার শিকার হচ্ছেন, তারাই এই দাবি জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, প্রয়োজনে তাদের অর্থ বন্ধ করা হোক, কিন্তু হামলাকারীরা যেন এই প্রকল্পের অর্থ না পান।”
লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এলাকা হিসেবে পরিচিত কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ রয়েছে যে, এর পর থেকে কাঁথি লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা খেজুরিতে তৃণমূলের কর্মীদের উপর বিজেপি সমর্থক এবং কর্মীরা অত্যাচার চালাচ্ছেন। এই খবর পেয়ে তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেজুরিতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা সেখানকার আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের সাথে কথা বলার জন্য গিয়েছিলেন। শুক্রবার সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে কুণাল খেজুরিতে গিয়েছিলেন, তাঁর সাথে ছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক শিউলি সাহা এবং মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। তাঁরা আক্রান্তদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক একটি জনসভা করেন, যেখান থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করেন কুণালরা।
খেজুরিতে তৃণমূল সমর্থক পরিবারদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠা হয়েছে। তাদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং জীবিকা নির্বাহের উপায় বন্ধ করার অভিযোগ বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠেছে। পুকুরে বিষ মেশানো এবং চাষের ক্ষতি করার মতো অভিযোগও রয়েছে। সভায় কুণাল হামলাকারীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা এখনই শুধরে যান। যারা এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন, তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জোরালো হচ্ছে। মনে রাখবেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রীও। তবে আমরা প্রতিহিংসা চাই না, তাই এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন।”
কুণাল ঘোষ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গে বলেন, “পঞ্চায়েত দফতর অনুযায়ী, খেজুরিতে ৬৮,৮৮৫ জন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। তবে খেজুরির নির্যাতিত মহিলারা বলছেন, প্রয়োজনে আমাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করুন, কিন্তু হামলাকারীদের আর এই সুবিধা দেবেন না।” তিনি আরও যোগ করেন, “যদি বিজেপির কিছু অপরাধী এভাবেই অশান্তি ছড়াতে থাকে, এবং আমাদের দেখানো উদারতা না মানে, তাহলে তারা শীঘ্রই বুঝতে পারবে যে তাদের ভাল নেই।”