স্থানীয় নেতৃত্বে ভরসা রেখে রাজ্যের চার বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির!
নির্বাচন কমিশন আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঘোষণা করেছে। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য অর্জন করলেও, এই চারটি কেন্দ্রে শাসক দল তৃণমূলের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, বিজেপি এই রাজ্যে কাঙ্খিত ফল না পেলেও, বিধানসভা উপনির্বাচনে আগে জেতা তিনটি আসন ধরে রাখতে চায়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে, চারটি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে তৃণমূলের চেয়ে বিজেপি অনেকটা এগিয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে, চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তালিকায় বড় চমক দিয়েছে।
মানিকতলা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপি কল্যাণ চৌবেকে প্রার্থী করেছে, যিনি ২০২১ সালেও এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। বাগদা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হলেন বিনয় কুমার বিশ্বাস, রায়গঞ্জ কেন্দ্রে মানস কুমার ঘোষ, এবং রাণাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী হলেন মনোজ কুমার বিশ্বাস।
তৃণমূল ইতিমধ্যেই রাজ্যের চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। মানিকতলা কেন্দ্রে প্রয়াত মন্ত্রী এবং বিধায়ক সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডেকে প্রার্থী করা হয়েছে। সাধন পান্ডের মৃত্যুর ফলে এই কেন্দ্রে পুনরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে, বাগদা কেন্দ্রে মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরকে এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রে কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী হলেও কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির কাছে পরাজিত হন। এবারের বিধানসভা উপনির্বাচনেও তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রাণাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে মুকুট মণি অধিকারীকে প্রার্থী করা হয়েছে, যিনি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েও বিজেপির জগন্নাথ সরকারের কাছে হেরে যান। উল্লেখ্য, কৃষ্ণ কল্যাণী এবং মুকুট মণি অধিকারী উভয়েই বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
যে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে, সেগুলি হল মানিকতলা, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং রায়গঞ্জ। ২০২১ সালে, মানিকতলা কেন্দ্রটি তৃণমূল দখল করেছিল, অন্যদিকে রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। পরবর্তীতে, ওই তিন কেন্দ্রের বিধায়করা – কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস এবং মুকুটমণি অধিকারী – দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে, তাঁরা যথাক্রমে রায়গঞ্জ, বনগাঁ এবং রানাঘাট কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তাঁরা নির্বাচনে লড়েন, কিন্তু শাসক দলের টিকিটে লড়ার পরেও তিন কেন্দ্রেই পরাজিত হন।