অভিষেক ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতির জন্যই কি ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎকে শোকজ়! কি ইঙ্গিত শুভেন্দুর!
বুধবার ডায়মন্ড হারবারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীকে রাজ্য বিজেপি শোকজ় চিঠি প্রেরণ করেছে। এর ফলে বিজেপির মধ্যে নানা জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিজিৎ দাস (ববি) কে শোকজ় করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, এবং তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে। ববির পক্ষ থেকে অন্যান্য অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, যেখানে তিনি দাবি করেন যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তিনি যখন ডায়মন্ড হারবার আসনে ভোটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ববির দাবি, এর পেছনে চক্রান্ত রয়েছে। পরবর্তীতে, শুভেন্দু এই বিতর্ক থেকে নিজেকে আলাদা করে নেন এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালনের পর সংবাদমাধ্যমকে জানান যে আদালতে যাওয়ার নির্দেশ এবং শোকজ় চিঠির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।
লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাত লাখেরও অধিক ভোটে জয়ী হন। তারপর ওই এলাকায় ভোটের পর সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়। এর ফলে অভিজিতের বিরুদ্ধে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের অভিযোগ জানা যায়। বিজেপির ‘তথ্যানুসন্ধানী’ দলের আহ্বায়ক ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, এবং দলে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির প্রতিনিধি দল বিজেপিরই ঘরছাড়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এবং রাজ্য বিজেপি অস্বস্তিতে পড়ে। অভিজিতের ইন্ধনের অভিযোগ উঠে বিক্ষোভের পিছনে।
ভোটের সময় থেকেই অভিজিৎ এবং ওই জেলার বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ সর্দারের মধ্যে সংঘাতের খবর প্রকাশ্যে আসে। প্রচারের সময়, উভয় অভিজিৎই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। ভোটের পরে, ‘সন্ত্রাসকবলিত’ বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়েও সংঘাত বাধে। এর ফলে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বিক্ষোভ দেখায় এবং রাজ্য নেতৃত্ব প্রার্থী অভিজিতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়।
সপ্তম দফায় ভোটের দিন ডায়মন্ড হারবার আসনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল, যা শুভেন্দু তুলে ধরেছিলেন। বিজেপি প্রায় ৪০০ বুথে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। শুভেন্দুর দাবি ছিল, ফলতা বিধানসভার সমস্ত বুথে পুনরায় ভোট হওয়া উচিত। কিন্তু কমিশন কোনও দাবিতেই সাড়া দেয়নি। ভোটের ফল ঘোষণার পর ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে শুভেন্দু নানা ধরনের কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন এবং প্রার্থী অভিজিৎকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে শুভেন্দু জানিয়েছেন, অভিজিৎকে শোকজ করা এবং অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয় আলাদা এবং তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।