ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো খেতাব স্প্যানিশদের !
স্পেন ইউরো কাপে জিতেছে! ২০১২ সালের পর এই প্রথম ইউরো খেতাব স্প্যানিশ আর্মাডার।
নিকো উইলিয়ামসের গোলে স্পেন এগিয়ে যায়, কিন্তু কোল পামারের গোল ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরায়। শেষ পর্যন্ত মিকেল ওয়ারজাবালের জয়সূচক গোল স্পেনকে বিজয় এনে দেয়।
বার্লিনে ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য, যদিও বল দখলের লড়াইয়ে স্পেন অনেকটাই এগিয়ে ছিল (৬৪-৩৬)। লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। স্প্যানিশ আর্মাডা দুই উইং ধরে আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করে।
ইনজুরি টাইমে ইংল্যান্ডের ফিল ফডেন প্রথম শট নেন, কিন্তু উনাই সিমোন সহজেই বল আটকান। ইউরো ফাইনালে প্রথম শট নেওয়ার জন্য এই ম্যাচে রেকর্ড তৈরি হয়, যা ২০০০ সালের ইউরো ফাইনালের ৩৮ মিনিটের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়।
৪৭ মিনিটে গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন নিকো উইলিয়ামস। কারভাহালের কাছ থেকে বল পেয়ে অনেকটা দৌড়ে অরক্ষিত অবস্থায় থাকা উইলিয়ামসকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান লামিনে ইয়ামাল। চলতি ইউরো কাপে ইয়ামালের এটি চতুর্থ অ্যাসিস্ট।
😎 Nico Williams & Lamine Yamal 🏆#EURO2024 | #ESPENG | @SEFutbol pic.twitter.com/6BQDC1IaCG
— UEFA EURO 2024 DE (@EURO2024DE) July 14, 2024
ইয়ামালের বাড়ানো বল ধরে জোরালো শটে গোল করেন উইলিয়ামস। পা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পিকফোর্ড। উইলিয়ামসের বয়স এদিন ২০ বছর ২ দিন। ইউরো ফাইনালের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। ১৯৬৮ সালে ২০ বছর ৬৪ দিনের মাথায় গোল করেছিলেন ইতালির পিয়েত্রো আনাসতাসি।
এই গোলটির পর অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে স্পেন। যদিও গোলমুখ খুলতে পারেননি নিকো উইলিয়ামস, দানি ওলমোরা। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে।
টাচলাইনের ধারে গ্যারেথ সাউথগেটের সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে দেখা যায় জুড বেলিংহ্যামকে। ম্যাচে ইংল্যান্ডের রাশ আলগা হচ্ছে অনুভব করে দ্রুত পরিবর্তন করার জন্য সওয়াল করছিলেন বেলিংহ্যাম। ৬১ মিনিটে হ্যারি কেনকে তুলে নিয়ে অলি ওয়াটকিন্সকে নামান সাউথগেট।
৭০ মিনিটে কোবি মাইনুর জায়গায় নামানো হয় কোল পামারকে। এই পরিবর্তনেই বাজিমাত। ৭৩ মিনিটে জুড বেলিংহ্যামের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করে সমতা ফেরান পামার। ৮১ মিনিটে উইলিয়ামস, ওলমো ও ইয়ামাল ভালো আক্রমণ তুলে আনেন। যদিও ইয়ামালের শট রুখে দেন পিকফোর্ড।
৮৬ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ওয়ারজাবাল। ৮৬ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ওয়ারজাবাল। ৬৮ মিনিটে আলভারো মোরাতার পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। দানি ওলমোর থেকে বল পেয়ে তা কুকুরেলাকে বাড়িয়েছিলেন ওয়ারজাবাল, কুকুরেলা এরপর তা ফের বাড়ান ওয়ারজাবালকে লক্ষ্য করে। তা থেকেই জয়সূচক গোল।
৮৯ মিনিটে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। ডেক্লান রাইসের পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক হেডার বাঁচান সিমোন। এরপর মার্ক গুয়েহি হেড দিয়ে গোল করার চেষ্টা করলে লাইনে দাঁড়িয়ে পাল্টা হেডে তা রুখে দেন ওলমো। এরপর রাইসের হেডার বাইরে চলে যায়।