মমতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রাজ্যপালকে ১১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মমতা ব্যানার্জিকে !
মানহানির মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নতুন মোড় এসেছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১১ কোটি টাকা দাবি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে, যেখানে কোর্ট ফি হিসেবে মোট ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী প্রমাণ হাজির না করা সত্ত্বেও মানহানির দাবি করেছেন, এবং অন্তর্বর্তী নির্দেশের প্রশ্ন তুলেছেন। এখন এই মামলার আইনি প্রক্রিয়ার পরিণতি কী হবে তা দেখার বিষয়।
মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী, সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, জানিয়েছেন যে জনগণের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেছিলেন। রাজ্যপালের প্রতি তাঁর কোনও মন্তব্য মানহানিকর নয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে মানহানির কিছু পাওয়া যায়নি, এবং সিঙ্গল বেঞ্চ বিষয়টি যথাযথভাবে না দেখেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে।
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের মানহানি ঘটানোর মতো কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে। এই নির্দেশ ১৪ অগস্ট পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
পূর্বে হাইকোর্ট উল্লেখ করেছিল যে, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক প্রাধিকার। তাঁর প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ অনুচিত। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এমন কাজ করা যাবে না।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল একটি প্রাথমিক মামলা দায়ের করেছেন। যদি কোনো অন্তর্বর্তী নির্দেশ না দেওয়া হয় এবং অপর পক্ষকে এই ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যপাল অপূরণীয় ক্ষতি ও আঘাতের সম্মুখীন হবেন।
হাইকোর্ট মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপালের প্রতি অপমানজনক মন্তব্য না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনো অসম্মানজনক কথা বলা যাবে না। এই নির্দেশ একটি অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে। ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রিয়াদ হোসেনকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মূল মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি।
বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়লাভ করা দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথ গ্রহণের প্রসঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন যে, রাজভবনের পরিস্থিতির কারণে মহিলা প্রার্থীরা শপথ নিতে আসতে ভয় পাচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাজ্যপাল কেন বিধানসভায় এসে শপথ গ্রহণ করাবেন না, অথবা স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে এই দায়িত্ব কেন দেবেন না? এর পরেই রাজ্যপাল এ বিষয়ে মামলা করেন।