চোখ কপালে খাদ্য দফতরের!বিরিয়ানিতে মেশানো হচ্ছে ‘বিষ’ রাসায়নিক!খেলেই ক্যানসার!
কে না ভালোবাসে বিরিয়ানি? শুধু নাম শুনলেই জিভে জল আসে। বাড়িতে রান্না করার ইচ্ছে না থাকলে, এক প্লেট বিরিয়ানি অর্ডার করে নিমেষে খেয়ে ফেলা যায়। কিন্তু জানেন কি, আপনার প্রিয় বিরিয়ানিতে বিষের মিশ্রণ হতে পারে! উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালাতেই প্রশাসনের কর্তারা চমকে উঠেছেন।
খবর আসছে যে, বিরিয়ানিতে ফুড কালার মেশানো হচ্ছে। আতরের বদলে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত করা হচ্ছে। বিরিয়ানির সুগন্ধ ও আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য এই রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়। ক্রেতা সুরক্ষা দফতর কঠোর পদক্ষেপের সতর্কবার্তা দিয়েছে। এছাড়াও, প্রয়োজনে ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে পুর প্রশাসন জানিয়েছে।
রায়গঞ্জ শহরের এমজি রোড, এনএস রোড, বিসিরায় সরণি, প্রণবানন্দ সরণি সহ বিভিন্ন স্থানে বিরিয়ানির দোকান গড়ে উঠেছে। সুগন্ধী বিরিয়ানির আকর্ষণে অনেক মানুষ এসব রেস্তোরাঁয় খেতে যান। এর ফলে নানা অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য সুরক্ষা দফতর অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে অধিকাংশ দোকানের বিরিয়ানি তৈরির স্থানগুলো অস্বাস্থ্যকর বলে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া, বিরিয়ানির রঙ ও স্বাদ বাড়ানোর জন্য যে সব রাসায়নিক মেশানো হয়, সেগুলোর মেয়াদ সংক্রান্ত কোনো লেবেল নেই বলে খাদ্য দফতর দাবি করেছে। এই অভিযানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে। এতে শহরের বিরিয়ানি প্রেমীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং প্রশাসনের কাছে এই অভিযান অব্যাহত রাখা এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রভাবে শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। অভিযান শেষে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “ব্যবসায়ীদের শুধু জরিমানা করে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে না, অনেককে সতর্ক করা হয়েছে। তবে কিছু ব্যবসায়ী এখনও সতর্ক হচ্ছেন না, তাদের জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এছাড়াও রায়গঞ্জের পুর প্রশাসক জানান, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পুরসভা যৌথ অভিযান চালাবে এবং প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।