নতুন করে হিংসায় জ্বলছে বাংলাদেশ, ১৪ পুলিশ-সহ অন্তত ৯৭ জনের মৃত্যু! সন্ধ্যা থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু!
বাংলাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের কেন্দ্রে প্রায় গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে চলমান হিংসাত্মক ঘটনায় কমপক্ষে ৯৭ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে আন্দোলনকারী, পুলিশ এবং আওয়ামি লিগের সদস্যরা রয়েছেন। অন্যদিকে, এএফপির রিপোর্ট বলছে, মৃতের সংখ্যা ৫০ এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত, সিলেটের ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশন জানিয়েছে, ‘সিলেটে অবস্থিত এই কমিশনের আওতাধীন সকল ভারতীয় নাগরিক, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের, এই অফিসের সাথে যোগাযোগ করার এবং সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’ জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় দূতাবাস একটি হেল্পলাইন নম্বর (+৮৮-০১৩১৩০৭৬৪০২) প্রদান করেছে এবং বলেছে, “জরুরি অবস্থায়, দয়া করে উল্লিখিত নম্বরে যোগাযোগ করুন।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির প্রেক্ষিতে সারা দেশে সংঘাত, সংঘর্ষ, গুলি এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৯৭ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় একই ঘটনায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
আজ সারাদিনের সংঘর্ষে নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ জন পুলিশসহ মোট ২২ জন, কিশোরগঞ্জে ৫ জন, ঢাকায় ১১ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ১ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৫ জন, কুমিল্লায় ৩ জন পুলিশসহ, শেরপুরে ২ জন, জয়পুরহাটে ২ জন, হবিগঞ্জে ১ জন, কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন এবং বরিশালে ১ জনসহ মোট ৯৭ জন নিহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশের জনগণকে নৈরাজ্যবাদীদের কঠোর হাতে দমন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যারা এখন সহিংসতা চালাচ্ছে তারা কেউ ছাত্র নয়, তারা সন্ত্রাসী।’
সরওয়ার আরও বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদের সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক; বিজিবি, এনএসআই, এবং ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক, এনসিএসএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, র্যাবের মহাপরিচালক, এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন।