প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য !
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণ ঘটেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। পাম অ্যাভিনিউয়ের নিজের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবারের সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি। গতকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
রাজ্যের রাজনীতিতে এক নক্ষত্রের পতন ঘটেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) মৃত্যু হয়েছে, যিনি ৮০ বছর বয়সে ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত, তিনি টানা ১১ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং COPD নামক ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন। আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউতে তাঁর নিজের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবারের সূত্র অনুযায়ী, গত তিন দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন, যদিও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। আজ সকালে তাঁর জ্বর বেড়ে যায়, এবং চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু তাঁর অবস্থা আর সময় দেয়নি। বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম সহ সিপিএমের নেতৃত্ব তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন। সূত্র অনুযায়ী, আজ সকালে তাঁর COPD-র অ্যাটাক হয়, যার ফলে তাঁর স্যাচুরেশন লেভেল নেমে যায় এবং হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়।
২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ শিরোনামে আসেন। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে এই সম্মানের জন্য মনোনীত করেছিল, তিনি তা গ্রহণ করতে অসম্মতি জানান।
বুদ্ধদেবের এগারো বছরের মেয়াদের শেষ পাঁচ বছর ছিল বাংলার রাজনীতির জন্য এক উত্তেজনাপূর্ণ সময়। এই সময়কালের রাজনৈতিক তাপমাত্রা মূলত তাঁর শিল্পায়ন নীতির চারপাশে ঘুরেছে। বুদ্ধদেব যে শিল্পায়নের উপর বাজি রেখেছিলেন, সেই শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতি তাঁর পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০০৬ সালে ২৩৫ আসন জয়ের পর পুনরায় ক্ষমতায় আসা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ বছর পর লজ্জাজনক পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটে।