অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, কমিটি গঠন ভারত সরকারের,’ওপারে থাকা হিন্দুদের’ জন্য বড় বার্তা অমিত শাহের!
উত্তপ্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্য ভারত সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। ‘ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতির উপর নজরদারি করবে বিএসএফের এডিজি, ইস্টার্ন কমান্ড। বাংলাদেশে অবস্থিত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখবে এই কমিটি’, টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
In the wake of the ongoing situation in Bangladesh, the Modi government has constituted a committee to monitor the current situation on the Indo-Bangladesh Border (IBB). The committee will maintain communication channels with their counterpart authorities in Bangladesh to ensure…
— Amit Shah (@AmitShah) August 9, 2024
জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার, ভারতের কোচবিহারের শীতলখুচি সীমান্তের অপর পারে বাংলাদেশের দিকে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য অনেক মানুষ ভারতে প্রবেশের জন্য ওই এলাকায় জমা হয়েছেন। তারা সীমান্ত পেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন এবং জিরো ল্যান্ডে পৌঁছে যান। বিএসএফ জওয়ানরা তাদের ভারতে প্রবেশে বাধা দেন এবং তাদের ঘিরে রাখেন। এলাকায় অনেক জওয়ান নিয়ে আসা হয়েছে এবং রাজ্য পুলিশও পৌঁছে গেছে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম ঘটছে। সম্প্রতি শীতলখুচি এলাকায়, যেখানে সীমান্তে কাঁটাতার আছে, এমন একটি ঘটনা দেখা গেছে। জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতেও কিছুদিন আগে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, যাদের আটকানো হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছেন, যেখানে অনেকেই জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ কোমর জলে, কেউ হাঁটু জলে।
লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অনিমেষ রায় জানান, ‘বাংলাদেশের কিছু মানুষ আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় জড়ো হয়েছেন। বিএসএফ উপস্থিত আছে। স্থানীয় পুলিশ এবং বিডিও এসেছেন। আমরাও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশ ভিড় সরিয়ে দিচ্ছে।’ একজন স্থানীয় বাসিন্দা, মাসুম আখতার বলেন, ‘সকাল থেকে বাংলাদেশের অনেক লোক সীমান্তে জমায়েত হচ্ছে। সেখানে সংঘর্ষ চলছে। এর ফলে অনেকে ভারতে আসতে চাইছেন।’
সংখ্যালঘুদের অত্যচারের খোঁজ নিতে কমিটি তৈরি ভারতের:
অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশে নজর রাখছে ভারত সরকার। এই প্রেক্ষাপটে, ভারত সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। ‘ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে বিএসএফের এডিজি, ইস্টার্ন কমান্ড। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখবে এই কমিটি’, এমনটি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বাংলাদেশে নৈরাজ্যের মধ্যে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার এবং দেশ ছাড়ার তিন দিন পরেও, যদিও অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে, তবুও পুলিশের পরিষেবা প্রায় স্তব্ধ রয়েছে। দৈনিক প্রথম আলো অনুযায়ী, পুলিশ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে ফিরে আসার জন্য বলা হলেও, অধিকাংশ থানা এখনও চালু করা যায়নি। পুলিশ কর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশজুড়ে চলমান দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের কারণে, তারা এখনই থানায় ফিরে আসতে সাহস পাচ্ছেন না। এর ফলে, FIR দায়ের করা থেকে তদন্ত পর্যন্ত সব কাজ স্থগিত হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে, ঢাকার নতুন পুলিশ কমিশনার মহম্মদ মইনুল হাসান অন্তত চেয়ার-টেবিল দ্রুত থানার পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে, পুলিশ কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায়, অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর এবং আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটেছে। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী খুন হয়েছেন।