ভারতে আশ্রয় চেয়ে সীমান্তে জয় শ্রীরাম স্লোগান বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের !
গরম বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরেও সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। তারা সীমান্তে দাঁড়িয়ে ভারতের আশ্রয় চাইছেন। শুক্রবার কোচবিহারের সীমান্তে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। শীতলকুচির পাঠানতুলি গ্রামের কাঁটাতারের অপর পাশে বাংলাদেশি শরণার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন। তারা সেখানে দাঁড়িয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলছেন। এছাড়াও, তাদের মধ্যে কেউ কেউ পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং ভারতের জয়গান করছেন। সীমান্তের জলাশয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুরা দাবি করছেন, “আমরা ভারতের আশ্রয় চাই।”
এপারে রয়েছে কোচবিহারের শীতলকুচির পাঠানতুলি গ্রাম, ওপারে লালমণিরহাট। মাঝখানে জলাশয়ের পাশ দিয়ে বিস্তৃত কাঁটাতার। গত শুক্রবার, সেই জলাশয়ে নেমে এপারে আসতে গিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামের সংখ্যালঘু বাসিন্দারা হুড়োহুড়ি করে ফেলে। জিরো পয়েন্টে বসে তারা হাসিনা ও আওয়ামি লিগের সমর্থনে স্লোগান দেয়। হিন্দুরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে সাড়া দেয়। জলাশয় পেরিয়ে পাঠানতুলি গ্রামের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, “আমাদের নিরাপত্তা নেই, আমরা ভারতের আশ্রয় চাই।”
বুধবারে জলপাইগুড়ির সীমান্তবর্তী বেরুবাড়ি এলাকায় অনেক বাংলাদেশি জড়ো হয়েছিলেন। কাঁটাতার না থাকায়, বিএসএফ এবং বিজিবি যৌথভাবে কাজ করে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার আরও অনেক শরণার্থী ভারতে আশ্রয়ের আবেদন করতে দেখা গেছে। বিএসএফ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার গাইবান্দা, পশ্চিম গোতামারি, পূর্ব গোতামারি, এবং ডাকুয়াটারি এলাকার বাসিন্দা, যা সবই সীমান্তবর্তী গ্রাম।
Hindus under attack by Islamists in Bangladesh start gathering on the border with India.
The Islamists want to force them out of the country. It’s one of the goals of their campaign of violence.— Paul Golding (@GoldingBF) August 9, 2024
বৃহস্পতিবার রাতে অশান্ত বাংলাদেশে স্থিতি সামাল দিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান উপদেষ্টা হলেন নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত ডঃ মহম্মদ ইউনুস। তিনি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, এরপরও বিক্ষিপ্তভাবে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। লুটপাট এবং মারধরের খবর প্রকাশ পেয়েছে, যার ফলে সেখানকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে এখন ভারতে আশ্রয়ের সন্ধান করছেন।