হিন্দুদের ওপর অকথ্য নির্যাতনের প্রতিবাদে মুসলিমদের মুখের ওপর জবাব দিয়ে এবার ঢাকায় বিশাল মিছিল হিন্দুদের!
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নামে সংখ্যালঘু হিন্দুদের এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের উপর যে আক্রমণ হচ্ছে, তা বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হচ্ছে। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় এখন চাপের মুখে আছে। এই অন্যায় আক্রমণের কারণ কেন তাদের উপর আসছে, তার উত্তর কেউ জানে না।
এবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন হিন্দু সনাতনীরা। খবর অনুযায়ী, ঢাকায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ একটি বিশাল মিছিল আয়োজন করেছে, যা ঢাকা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। মিছিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে হিন্দুদের সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর চলমান আক্রমণের প্রতিবাদ জানানো। এই প্রতিবাদ মিছিল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে একটি বার্তা প্রেরণ করছে, যা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এটি তাদের চাপে রাখবে।
স্লোগান ‘সেভ দ্য হিন্দুস’, ‘আমারও তো রক্ত লাল-সইব আর কতকাল?’, ‘আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই’, ‘আমার মন্দির, আমার বাড়ি লুটপাট কেন? জবাব চাই-জবাব চাই’—এই ধরনের নানা স্লোগান দিয়ে তারা প্রতিবাদ জানায়। স্লোগান ছাড়াও তারা বিক্ষিপ্তভাবে বক্তৃতা দেয়। এরপর ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকেরা সেখানে জড়ো হয়। ধীরে ধীরে সমাবেশের আকার বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশের সচেতন সনাতন নাগরিক, সনাতন ছাত্র সমাজ, সনাতন শিক্ষার্থী ঐক্য, এবং সুধী সমাজের নাগরিকরা অভিযোগ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, প্রতিমা, হিন্দুদের বাড়িঘর, এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট, এবং অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মহিলাদের উপর ধর্ষণ এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে, এবং রাতের অন্ধকারে তাদের প্রাণনাশের ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার, জামাত ইসলামির আমির শফিকুর রহমান হঠাৎ হিন্দুপ্রেমী রূপ ধারণ করে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দিরে উপস্থিত হন।
মন্দিরে যাওয়ার পর হিন্দুদের বিক্ষোভের সামনে পিছু হটে গেলেন বাংলাদেশে তালিবান শাসন এবং হিন্দু নিধনের প্রধান সমর্থক। গত সোমবার থেকে জামায়েত ইসলামী এবং অন্যান্য মুসলিম মৌলবাদী দলগুলি দেশজুড়ে হিন্দুদের উপর নির্যাতন শুরু করেছে, মন্দিরগুলি দখল করেছে এবং হিন্দুদের দেশ ত্যাগের হুমকি দিচ্ছে।