হিন্দুদের বিক্ষোভে অবশেষে নড়ে বসল বাংলাদেশ সরকার! বড় পদক্ষেপ ডঃ মহম্মদ ইউনুসের !
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের আশ্বাস দিতে মহম্মদ ইউনুস এগিয়ে এসেছেন, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। মঙ্গলবার তিনি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে মিলিত হবেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের নতুন সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে, সম্প্রতি অশান্তির সময় যে সকল ব্যক্তি মন্দিরে ভাঙচুর বা লুঠপাট চালিয়েছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের নতুন সরকারের ধর্মীয় বিষয়ের প্রধান উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেছেন, সংখ্যালঘুদের প্রার্থনাস্থলে আক্রমণকারীরা অপরাধী এবং তাদের এই কর্মের জন্য মূল্য দিতে হবে। হোসেন আরও বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সবসময় দেশের সংখ্যালঘুদের সমর্থন করে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।’
সরকার জানিয়েছে যে, দেশব্যাপী যেখানে যেখানে এই ধরনের হামলা ঘটেছে, সেই সব স্থানের তালিকা জেলা প্রশাসনকে তৈরি করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, এই ধরনের অভিযোগ গ্রহণ এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে।
আজ অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজার জন্য কমপক্ষে তিন দিনের ছুটির সুপারিশ করা হবে।’ তিনি এই মর্মে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হিন্দু গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্সের প্রধান নেতাদের সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে মিলিত হন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে তিনি তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করা হবে। দুর্গাপুজো তাদের প্রধান উৎসব হওয়ায়, তিনি তাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে মন্ত্রক থেকে দুর্গাপুজোর জন্য তিন দিনের ছুটির সুপারিশ করা হবে। এবং যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত দুই দিনের ছুটি দেওয়া হোক। কারণ এক দিনের ছুটিতে কর্মরত ব্যক্তিরা উৎসবে অংশ নিতে পারবেন না।
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তার ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন অংশে অশান্তি দেখা দেয়। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে, এবং অনেকে ভারতে আশ্রয়ের জন্য সীমান্তে জড়ো হন। পরবর্তীতে, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হিন্দু এবং আদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিবাদে নামে। বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার কি হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জন করতে পারবে, তা এখন প্রশ্ন।