নবান্ন অভিযান ব্যর্থ করতে রাজীব কুমারের নেতৃত্বে ফেক নিউজ ছড়াতে চাইছে পুলিশ!
রাজ্য পুলিশ নবান্ন অভিযানকে ব্যর্থ করার জন্য ফেসবুকে মিথ্যা খবর ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এর জন্য তারা সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ফেসবুকে মিথ্যা প্রোফাইল তৈরি করছে, যার জন্য অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। শনিবার সকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জানিয়েছেন যে, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় তৈরি করা এই ধরণের মিথ্যা প্রোফাইলের একটি তালিকা তাঁর কাছে আছে। তিনি পুলিশের এই পরিকল্পিত অপপ্রচারে ছাত্র ও যুবদের বিভ্রান্ত না হতে আহ্বান জানিয়েছেন।
অরাজনৈতিক ছাত্ররা নিহত মহিলা চিকিৎসকের ন্যায়বিচারের দাবিতে আগামী ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের আহ্বান জানিয়েছে। রাজ্য সরকার এই কর্মসূচির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেছিল, কিন্তু তাদের আপত্তি খারিজ হয়েছে। শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ২৭ অগাস্টের কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিতে পারবে না। এর পরে, শনিবার সকালে শুভেন্দুবাবু এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
Mamata Police is unleashing sinister 'toolkit' to deviate protestors from Marching towards Nabanna, seeking justice for the RG Kar PGT Lady Doctor !!!
West Bengal Govt is trembling with fear since the call for 'Navanna Abhijaan' on 27th August went viral on social media. The… pic.twitter.com/U8eHr2P5nX
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) August 24, 2024
সামাজিক মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘২৭ তারিখের নবান্ন অভিযানের বার্তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাপে পড়েছে। মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচি অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ার পর এবং জনরোষে পরিণত হওয়ায় সরকার ও প্রশাসন প্রচণ্ড চাপে আছে। এখন ছাত্র সমাজের অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযানের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপ বাড়িয়েছে। তাই পুলিশ মাঠে নেমেছে স্নায়ুর চাপ কমাতে। পুলিশি ব্যবস্থা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও নাগরিক সমাজকে রোখা যাবে না বুঝে, মমতা পুলিশ অনৈতিক পথ অবলম্বন করছে। প্রত্যেক জেলার থানায় সিভিকদের দিয়ে ফেক ফেসবুক প্রোফাইল খোলা হচ্ছে। এই প্রোফাইলগুলি দিয়ে ২৭ আগস্টের নবান্ন ঘেরাও নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এই প্রোফাইল ব্যবহারকারীদের URL লিংক পাঠানো হচ্ছে ভুল পোস্ট ছড়ানোর জন্য, যাতে নবান্ন অভিযান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো যায় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যায়। সিভিকদের ডকুমেন্ট দিয়ে সিম কার্ড তোলা হচ্ছে, ওসিরা টাকা দিয়ে রিচার্জ করার জন্য। এরপর ফেক নামে প্রোফাইল খোলা হচ্ছে।’
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ‘প্রতিটি জেলায়, সব জায়গাতেই DG-র নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ চালানো হচ্ছে। পুরো বিশ্বে ‘টুলকিট’-এর ব্যবহারে আন্দোলন জোরদার করার উদাহরণ রয়েছে, যা আন্দোলনে যোগ দিতে ইচ্ছুকদের জন্য বার্তা প্রেরণের একটি মাধ্যম, তারা কীভাবে অনলাইন বা অফলাইনে আন্দোলনের অংশ হতে পারে। এই প্রথম, আন্দোলন ঠেকাতে সরকার ও প্রশাসন ‘টুলকিট’ ব্যবহার করে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ব্যাহত করতে চাইছে।’
তিনি ছাত্রছাত্রীদের এবং নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানান, ‘আমি অনুরোধ করছি, ভুয়ো খবরে বিভ্রান্ত না হয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যান এবং ডাক্তার বোনের জন্য বিচার আদায়ের দাবি করুন। আমি মমতা পুলিসের ষড়যন্ত্র ফাঁস করতে চাই এবং এই উদ্দেশ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পুলিশ দ্বারা খোলা ফেক ফেসবুক প্রোফাইলের একটি তালিকা নমুনা হিসেবে প্রকাশ করছি। প্রতিটি জেলার তালিকা আমার কাছে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেনে রাখুন যে পুলিশ প্রশাসনের এক বড় অংশ আপনার জনবিরোধী কার্যকলাপের কারণে আপনার পাশে আর নেই এবং তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের বাড়িতেও কন্যা সন্তান আছে, এবং তারা বিচার চায়।’