আর জি করের মৃতার স্মরণে বিধানসভার অন্দরেই মোমবাতি হাতে মিছিল! নজিরবিহীন ঘটনা ঘটালেন শুভেন্দু অধিকারীরা!
বিশেষ অধিবেশনের চারপাশে বিধানসভায় নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরিহয় । হট্টগোল দিয়ে শুরু হয়েছে আজকের অধিবেশন । শোকপ্রস্তাব পাঠের সময় অধ্যক্ষ এবং বিরোধী দলনেতার মধ্যে বিতর্ক দেখা গেছে। শুভেন্দু অধিকারী আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় বক্তৃতা করেন। নীরবতা পালন করা হয়েছে, তবে তা অধিবেশন মুলতবি হওয়ার পরে। শেষে, বিজেপি বিধায়করা মোমবাতি নিয়ে এক নজিরবিহীন মৌন মিছিল করেন, যা বিধানসভা সাক্ষী থাকে।
আজ, সোমবার থেকে বিধানসভায় দুই দিনের এক বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনে, ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি নতুন বিল আনার প্রস্তাব করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল, মঙ্গলবার বিলটি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হবে এবং তারপর তা পাস করানো হবে। বিজেপির পরিষদীয় দলও আলোচনায় অংশ নেবে।
এদিন পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার অধীনে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ এবং গণধর্ষণ সম্পর্কিত আইনগুলিতে বাংলার জন্য কিছু সংশোধনী প্রস্তাবিত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আনা হতে চলা বিলের নাম ‘অপরাজিতা উইমেন চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ রাখা হয়েছে। সূত্র মতে, এই বিলটি বিধানসভায় পেশ করবেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
বিধানসভায় এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের শোকপ্রস্তাব পাঠ করা হয়েছে। কিন্তু শোকপ্রস্তাবে কেবল তাঁর উল্লেখ থাকায় বিরোধী দলনেতা আপত্তি জানিয়েছেন। এই নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে শুভেন্দুর বাদানুবাদ হয়। তিনি শোকপ্রস্তাবে আরজি কর কাণ্ডের মৃতার প্রসঙ্গ যোগ করার দাবি করেন।
কিন্তু অধ্যক্ষ বলেন, “শোকপ্রস্তাবে নাম উল্লেখ করা আবশ্যক। আইন মেনে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করা যায় না, কারণ আইনে এর বিধান রয়েছে। শোকপ্রস্তাব দিতে গেলে তাঁর নাম রেকর্ড করা জরুরি। এই পরিস্থিতিতে আমরা কী করব?”