কর্তৃপক্ষ যদি চান, তাহলে ইস্তফা দিতে রাজি সিপি! বৈঠক শেষে এমনটাই দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
বাংলা উত্তাল আর জি কর নিয়ে। সুবিচার সহ বহু দাবি উঠেছে আন্দোলনকারী চিকিৎসক ও জনগণের তরফ থেকে। বর্তমানে, জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রধান দাবি হল সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। দীর্ঘ অবস্থান বিক্ষোভের পর, তারা এই দাবি সিপির কাছে জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে, আন্দোলনকারীরা বলেছেন যে সিপি নিজে জানিয়েছেন, যদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চায়, তাহলে তিনি পদত্যাগে আপত্তি করবেন না।
জুনিয়র চিকিৎসকরা পাঁচ দফা দাবিতে লালবাজারে অভিযানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। মিছিল ঠেকাতে পুলিশ লালবাজারকে লৌহকপাট দিয়ে ঘিরে ফেলে। পরে জুনিয়র চিকিৎসকরা রাস্তায় বসে পড়েন। প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থানের পর পুলিশি অনুমতি পান। মিছিল বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে পৌঁছায়। সেখানেও চিকিৎসকরা রাস্তায় বসেন। এদিকে, ২২ জন জুনিয়র ডাক্তার লালবাজারে পৌঁছান। তারা প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে, তারা সাংবাদিকদের সাথে মুখোমুখি হন। অনিকেত মাহাতো বলেন, “আমরা সিপি বিনীত গোয়েলের কাছে আমাদের পদত্যাগ-সহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছি এবং কেন পদত্যাগ চাইছি সেটাও ব্যাখ্যা করেছি।” দাবি জানানোর পর, তারা সিপির মতামত জানতে চান।
অনিকেত জানিয়েছেন, সিপি বিনীত গোয়েল কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তবুও তিনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট বলে মনে হয়। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, পুলিশ কমিশনার নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন বলে মনে করেন। কিন্তু যদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাহলে তিনি পদত্যাগে রাজি। লালবাজার থেকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে এসে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আন্দোলনের বিষয়টি জানান। এখন তারা অবস্থান ত্যাগ করলেও কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।