সিবিআই গ্রেফতার করার ২৪ ঘণ্টা পরে সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল নির্লজ্জ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর!
স্বাস্থ্য দফতর অবশেষে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে। গ্রেফতারের পরের দিনই এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। স্বাস্থ্য ভবন থেকে জারি করা বিবৃতিতে সাসপেনশনের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাঁর বিরুদ্ধে চলমান অপরাধমূলক কাজের তদন্তের প্রেক্ষিতেই সাসপেনশন করা হয়েছে। এবং বিবৃতিতে বলা হয়েছে, West Bengal Services (Classification, Control and Appeal) Rules, 1971-এর 7(1c) নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সাসপেনশন হয়েছে।
সোমবার আর জি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ গ্রেপ্তার হন। মঙ্গলবার তাঁকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। নিজাম প্যালেস থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ‘চোর, চোর’ স্লোগান শোনা যায়। সিবিআই আদালতে তাঁর আট দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় এবং মঞ্জুর হয়। জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁর সাসপেন্শনের দাবি জানিয়েছিলেন, যা এখন পূরণ হয়েছে।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অবিরাম অভিযোগ উঠছে। তিনি নাকি হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি করতেন, এবং এই পাচারচক্রের শাখা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তাঁর বক্তব্য, “সন্দীপ ঘোষ হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ দিয়ে ব্যবসা করতেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।” তিনি নাকি হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য বা বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও বাইরে বিক্রি করতেন, এবং তাঁর অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে এই সব সামগ্রী বিক্রি করতেন! এই পাচারচক্রের শাখা বাংলাদেশেও প্রসারিত হয়েছে, এবং সীমান্তের ওপারেও বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট পাচার হত। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে, এবং এখন স্বাস্থ্য দপ্তর তাঁকে সাসপেন্ড করেছে।